সংগৃহীত
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার নামে পশু জবাই বা কোরবানি করা একটি স্বতন্ত্র ও ইসলামের অন্যতম তাৎপর্যমণ্ডিত এবং ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। এতে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা।
আর তাই কোরবানিদাতার এমন কিছু বিষয় মেনে চলা বা জানা জরুরি; যা তার জন্য বৈধ এবং নিষিদ্ধ। সেই কাজগুলো কী কী? উক্ত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রেখে আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো- ঈদের তৃতীয় দিন কোন সময় সময় পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে?
ইসলামে জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ মোট ৩ দিন কোরবানি করা যায়। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে কোরবানির সময় থাকে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত।
ইসলামি ক্যালেন্ডারে রাত আগে আসে। সূর্যাস্তের মাধ্যমে একটি দিন শেষ হয়ে নতুন দিন শুরু হয়। তাই জিলহজের ১২ তারিখের সূর্যাস্ত হওয়া মানে জিলহজের ১৩ তারিখ শুরু হয়ে যাওয়া। ১৩ জিলহজ কোরবানি করার সুযোগ থাকে না। তৃতীয় দিন যারা কোরবানি করবেন, তাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার।
ঈদের প্রথম দুদিন রাতেও কোরবানি করা যায়। যদিও অন্ধকারের কারণে জবাইয়ে ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে রাতে কোরবানি না করাই ভালো। কিন্তু প্রথম দুদিন রাতে কোরবানি করলেও কোরবানি হয়ে যায়।
কোরবানির জন্য সর্বোত্তম দিন হলো জিলহজের ১০ তারিখ বা ঈদের প্রথম দিন। তাই প্রথম দিন কোরবানি করার সুযোগ থাকলে প্রথম দিনই কোরবানি করা উচিত। কোনো ওজর ছাড়া কোরবানি ১১ বা ১২ তারিখ পর্যন্ত পেছানো উচিত নয়। তবে কোনো ওজর ছাড়াও ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কেরবানি করলে কোরবানি আদায় হয়ে যাবে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ