মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১

পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রশান্তির বৃষ্টি

পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রশান্তির বৃষ্টি

পবিত্র মসজিদুল হারামসহ মক্কার বিভিন্ন স্থানে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। তীব্র তাপমাত্রার পর বৃষ্টির পানির ছোঁয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে তৈরি হয় অন্য রকম অনুভূতি। অনাবিল প্রশান্তিতে ভরে যায় তাদের ক্লান্ত দেহ ও অস্থির মন।

মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময় থেকে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। এ সময় কাবাঘরের  চারপাশে মুসল্লিদের তাওয়াফ ও দোয়া করতে দেখা যায়। এরই মধ্যে বৃষ্টিস্নাত কাবা প্রাঙ্গণের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ সময় মসজিদ চত্বরে আগ্রহভরে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন অনেকে। আবার অনেকে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং মুগ্ধতাভরে তাকিয়ে থাকেন কালো গিলাফের দিকে। তাছাড়া মসজিদ কর্তৃপক্ষ থেকে বৃষ্টির সময় মুসল্লিদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে জেনারেল অথরিটির তত্ত্বাবধানে পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক কাজ করছে। 

এদিকে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি ফর দি অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, বৃষ্টির পর দ্রুততর সময়ে কাবা প্রাঙ্গণ থেকে পানি নিষ্কাশনে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

এদিকে মক্কার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল ঝড় দেখা গেছে। এ সময় নিম্নগামী বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মক্কার দক্ষিণাঞ্চল আল-কাকিয়াতে ৪৫ মিমি সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি এ তথ্য জানিয়েছে।

মসজিদুল হারামের জেনারেল অথরিটি এক্স-এর এক পোস্টে পবিত্র কোরআন থেকে বৃষ্টিবিষয়ক একটি আয়াত শেয়ার করে। তা হলো, ‘তার একটি নিদর্শন হলো, আপনি ভূমিকে অনুর্বর পড়ে থাকতে দেখবেন। অতঃপর আমি এর ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করলে তা শস্য-শ্যামল ও স্ফীত হয়। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন তিনি মৃতদেরও জীবিত করবেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা হা-মিম, আয়াত : ৩৯) 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: