শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেমন আছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা?

কেমন আছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা?

 

সম্প্রতি পবিত্র ইস্টার সানডের দিনে (২১ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন, আহত রয়েছেন আরও ৫০০ জনের বেশি। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে ন্যাক্কারজনক হামলার পর শ্রীলঙ্কার এই হামলা নাড়া দিয়েছে বিশ্ববিবেককে। এসব হামলার পর বিভিন্ন দেশে সংশ্লিষ্ট দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

সংখ্যালঘু। এই দেশে তারা একসময় ভয়, আতঙ্কে দিন পার করতো। কখন কে হামলা করে বসে সেই দুশ্চিন্তায় তারা দিন পার করতো। প্রায় প্রতিদিনই তাদের এলাকায় কিংবা গ্রামে ঘটতো বিভিন্ন হামলা। জ্বালিয়ে দেয়া হতো বাড়ি-ঘর। এতে মারা পড়তো অনেকেই। তবে এটি বহু বছর আগের ঘটনা।

বর্তমানে দেশে সংখ্যালঘুদের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। আনন্দে আর কোনো ধরণের চিন্তা ছাড়াই তারা দিন পার করছে। সেই সাথে নেই কোনো হামলার দুশ্চিন্তা। কিংবা ঘর-বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার চিন্তা। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুরা শান্তি থাকে। কারণ তাদের সুখে-দু:খে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পাশে সর্বদা থাকেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সকলেরই জানা। ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে কত সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয়েছিলো তা  হিসাব করে বের করাও কষ্টসাধ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকে, তত দিন এ দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকেন।

১৯৪১ সালে এই দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিলো মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপর দীর্ঘ সময় পর ২০০১ সালে সেই সংখ্যালঘুর সংখ্যা নেমে আসে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এর ভিতরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ছাড়াও আরো ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করেছে এই দেশে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বিপরীতে তাদের অবস্থান কম হলেও বাড়ছে তাদের সংখ্যা।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের হাজারখানেক ঘটনা ঘটেছে। এই মেয়াদে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সর্বাধিক। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিছুটা কমে যায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরোপুরি কমে যায় সংখ্যালঘু নির্যাতন। আর যাতে সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণ না হয় সে কারণে তাদের বিভিন্ন উৎসব পার্বণে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে সরকার। এছাড়াও উৎসব বাদে এলাকায় থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি।

স্বাধীনতার পর এদেশে একাধিকবার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে এদেশে জামায়াতের মতো মৌলবাদী শক্তির কাছে নির্যাতিত হয়েছে অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবার। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও আক্রমণের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অধিকাংশ সহিংস ঘটনাই সংগঠিত হয়েছে নির্বাচনকালে, তার আগে অথবা নির্বাচনের পর। ২০০১-এর জাতীয় সংসদের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের কাছে ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হয় এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তখন সিরাজগঞ্জে, ভোলায় এবং অন্যান্য স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও নির্যাতনের ঘটনায় নাগরিক সমাজ সোচ্চার হলেও নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা-সীমাদের ধর্ষণ পরবর্তী আহাজারি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার, প্রশাসন বা রাজনৈতিক মহলের অনেকেই শুনতে পাননি বা শোনার প্রয়োজনও বোধ করেননি। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ক্রমশই উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই