শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বই পাঠে ইসলামের অনুপ্রেরণা

বই পাঠে ইসলামের অনুপ্রেরণা

পৃথিবীতে বিনোদনের কত কিছুই না আবিষ্কৃত হয়েছে, কিন্তু বই পড়ার নির্মল আনন্দের কাছে সেগুলো সমতুল্য হতে পারেনি। জগতে শিক্ষার আলো, নীতি-আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংস্কৃতি—সবই জ্ঞানের প্রতীক বইয়ের মধ্যে নিহিত। মানুষের আলোকিত জীবনের উপকরণ হচ্ছে বই।

বই পড়ার সঙ্গে ইসলামের রয়েছে গভীর যোগাযোগ। পবিত্র কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ শব্দই হলো ইকরা বা পড়ো। এটি আদেশমূলক ক্রিয়াপদ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। পড়ো...।’ (সুরা আলাক, আয়াত : ১-৩)

কোরআনের অনেকগুলো নাম রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল-কিতাব’ বা বই। প্রথম অবতীর্ণ শব্দের কারণে যদি এই নামের সম্পর্ক বোঝার চেষ্টা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে ইসলাম ও মুসলিমদের জ্ঞান-সংক্রান্ত ভিত্তিই হচ্ছে পড়াশোনা করা। জ্ঞান অর্জন, সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আদেশ নিয়ে এসেছে পবিত্র কোরআন।

জ্ঞানের মাধ্যমেই মানুষ আপন রবের সন্ধান পায়, জ্ঞানই মানুষকে আল্লাহভীরু করে তোলে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বল, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে?’ (সুরা যুমার : ৯)।

পবিত্র কোরআনে আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল আল্লাহকে ভয় করে।’ (সুরা ফাতির : ২৮)। 

পবিত্র কোরআনে যেসব দৃষ্টান্ত রয়েছে, তা অনুধাবনের জন্যও জ্ঞানী হওয়া প্রয়োজন। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য উপস্থাপন করি, আর জ্ঞানী লোকেরা ছাড়া কেউ তা বুঝে না।’ (সুরা আনকাবুত : ৪৩)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ)

যারা জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ তাদের মর্যাদা সমুন্নত করে দেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের মর্যাদা সমুন্নত করবেন। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত।’ (সুরা মুজাদালাহ : ১১)। 

জ্ঞান অন্বেষণ করা এতই মর্যাদাপূর্ণ যে, ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য আকাশ ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দ্বীনি জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য জগতের সব কিছুই (আল্লাহ তায়ালার দরবারে) ক্ষমা প্রার্থনা করে। এমনকি পানির মাছও। (আবু দাউদ, তিরমিজি)। 

পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জনও ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কাম্য। যেমন চিকিৎসা, গণিত, কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে। পক্ষান্তরে যে জ্ঞান মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রুপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদদীন : ১/২৯-৩০)

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই