বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিখ্যাত দানবীর হাতেম তাঈ’র পরিবার মুসলিম হয়েছিল যেভাবে

বিখ্যাত দানবীর হাতেম তাঈ’র পরিবার মুসলিম হয়েছিল যেভাবে

আরবের বিখ্যাত দাতা হাতেম তাঈ। যার বদান্যতার গল্প আরব উপদ্বীপ ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বিশ্বে। তার পরিবার রাসুল (সা.)-এর যুগেই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। দাতা হাতেমের ছেলে আদি ইবনে হাতেম (রা.) ছিলেন নবীজি (সা.)-এর সাহাবি।

ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক তার ইসলাম গ্রহণের বর্ণনা এভাবে তুলে ধরেন।

আদি ইবনে হাতেম (রা.) বলতেন, আরবে আমার চেয়ে কেউ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কথা বেশি অপছন্দ করত না। তবে আমি স্বভাবে সম্ভ্রান্ত এবং ধর্মে খ্রিস্টান ছিলাম। আমার কাজ ছিল চৌথ (লুণ্ঠিত সম্পদের এক-চতুর্থাংশ) উশুলের জন্য বিভিন্ন গোত্রে ঘুরে বেড়ানো।

মহানবী (সা.)-এর আগমনের কথা শুনে আমার গা জ্বলত। আমি আমার গোলামকে নির্দেশ দিলাম সে যেন আমার উটের পাল থেকে কিছু মোটাতাজা উট বাছাই করে রাখে এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর বাহিনী আসছে এই কথা শুনলে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয়।

কিছুদিন পর সে আমাকে খবর দিল মুহাম্মদ (সা.)-এর বাহিনী আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি তখনই সিরিয়ার পথ ধরলাম এবং আমার এক বোন সাফফানা বিনতে হাতেমকে সেখানেই রেখে গেলাম। আমি চলে যাওয়ার পরপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘোড়সওয়ার বাহিনী গোত্রের ওপর চড়াও হলো। অন্যদের মতো হাতেমের কন্যাকে বন্দি করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে হাজির করা হলো এবং আমার পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ তাঁকে জানানো হলো।

অন্যান্য বন্দির মতো হাতেমের কন্যাকেও মসজিদ-ই-নববীতে আটকে রাখা হয়। একদিন মহানবী (সা.) সে স্থান অতিক্রম করার সময় তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার বাবা মারা গেছেন, অনাথের ভরসা হারিয়ে গেছে। আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। আল্লাহ আপনাকে অনুকম্পা করবেন।

নবীজি (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার ভরসা কে? হাতেমকন্যা বলল, আদি ইবনে হাতেম। তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল থেকে পলায়নকারী? এরপর তিনি চলে গেলেন। এভাবে তিন দিন অনুগ্রহ ও মুক্তি চাওয়ার পর নবীজি (সা.) তাঁকে মুক্তি দিলেন। তবে বললেন, তুমি চলে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ো না। বরং তোমাকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার মতো নির্ভরযোগ্য লোক পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করো।

অতঃপর কুজায়া গোত্রের কিছু লোকের সঙ্গে হাতেমকন্যা সফরের প্রস্তুতি নিলে মহানবী (সা.) তাঁকে বাহন, পোশাক ও প্রয়োজনীয় পাথেয় দিলেন। বোন সিরিয়ায় পৌঁছানোর পর আদি ইবনে হাতেম (রা.)-কে বকাঝকা করে তাঁকে ফেলে রেখে আসায় এবং তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করে নেন।

বোনই তাঁকে পরামর্শ দিলেন তিনি যেন মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করেন। আদি ইবনে হাতেম (রা.) নিশ্চিত হতে চাইছিলেন, মুহাম্মদ (সা.) কোনো সাধারণ বাদশাহ, নাকি সত্যিকার নবী। কিছু বিষয় প্রত্যক্ষ করার পর তিনি নিশ্চিত হন, তিনি নবী। যেমন সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলা, বিছানায় আদি (রা.)-কে বসিয়ে নিজে নিচে বসা এবং আদি (রা.)-এর ক্ষমতার গোপন মোহ সম্পর্কে বলে দেওয়া ইত্যাদি। এরপর তিনি বিলম্ব না করেই ইসলাম গ্রহণ করেন।

-(সূত্র : আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ৫/১২২)

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর