এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি একটি ঐতিহাসিক দল হলেও প্রথম থেকেই এ দলে অন্তর্কোন্দল ছিলো। প্রথম থেকেই এ দলে একে অপরকে টপকিয়ে ক্ষমতায় যাবার প্রবণতা ছিলো। যা বিএনপিতে এখনো প্রতীয়মান। দেশের জনগণ ভোট দিয়ে বিএনপি নেতাদের নির্বাচিত করেছে। জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি থেকে জয়ী নেতাদের সংসদে যাওয়া উচিত। কিন্তু এ বিষয়টি মানতেই চাইছে না, বিএনপি থেকে নির্বাচনে পরাজিত সদস্যরা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির কিছু নেতা এখনো ততোটা উদার হতে পারেন নি। যার কারণেই তারা মানুষের ভোটে বিএনপি থেকে জয়ী নেতাদের সংসদে যেতে নিষেধ করছেন। এটা নিতান্তই হতাশাজনক।
বিএনপি দেশ নয়, সব সময় নিজের স্বার্থ বোঝে। আর এই কারণেই বিএনপির এ করুণ পরিণতি হয়েছে বলে জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংসদে যদি একজনও ভিন্ন মত থাকে, সেটা দেশের জন্য সুখকর হবে। কিন্তু দেশের কথা চিন্তা করে যারাই শপথ নিতে চাচ্ছে, তাদেরই দল থেকে বহিষ্কার করছে বিএনপি। এতে অহংকার ও হিংসা প্রকাশ পায়। বিগত একযুগে বিএনপি ত্যাগ করেছে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী। এখন যদি যারা শপথ নিতে চাচ্ছে তাদেরও বহিষ্কার করা হয়, এতে বিএনপির শক্তি ক্ষয় হবে। নিজে জয়ী হয়নি বলে জয়ী নেতাদের এভাবে যন্ত্রণা দেয়ার কোনো মানেই হয় না। বিএনপির উচিত নিজের বেলায় ১৬ আনা নীতি থেকে বেরিয়ে দেশের মানুষের কথা চিন্তা করা। নতুবা, বর্তমানে বিএনপি যে করুণ দশায় রয়েছে, ভবিষ্যতে তা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। বর্তমানে বিএনপির সামান্য হলেও জনপ্রিয়তা রয়েছে, তবে এমন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বিএনপি করার মতো মানুষ খুঁজেও পাওয়া যাবে না।