একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ নেয়ার দিন শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র ১০ দিন। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ না নিলে শূন্য হয়ে পড়বে আসনগুলো। উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করা হবে। এদিকে শপথ গ্রহণ করার ডেডলাইন নিয়ে বিএনপিতে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও মুখরোচক আলোচনা।
আন্দোলনের অজুহাতে শপথ বর্জন করা বিএনপির আরেকটি বড় রাজনৈতিক ভুল, এমন গুঞ্জন ও শঙ্কার বিষয়টি বিএনপি নেতাদের মাঝে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার বরাতে এমন অভিযোগ ও শঙ্কার বিষয়ে অবগত হওয়া গেছে।
বিষয়টি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি পক্ষ বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে চিন্তিত অন্যটি সংসদে যেতে পাঁয়তারা করছে। জনগণের চাপের গল্প বলে সংসদে যেতে মরিয়া বিএনপির নির্বাচিতরা। দলের চেয়ে ক্ষমতা তাদের কাছে বড়। সংসদের বাইরেও যে রাজনীতি করা যায় সেটি হয়ত নির্বাচিতরা ভুলে গেছেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে জেলে রেখে সংসদে বসার কোন অর্থই খুঁজে পাচ্ছি না আমি। বেগম জিয়াকে মুক্ত করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। সংসদে না থাকলেও রাজনীতির মাঠে থেকেও প্রতিনিধিত্ব করা যায়। সংসদ রাজনীতির সব কিছু না। সুতরাং যারা সংসদে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন, তারা বেগম জিয়ার রাজনৈতিক আদর্শে পুরোপুরি বিশ্বাসী নন।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আজকে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা এসির বাতাস খেতে সংসদে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাদেরকে স্রেফ বেইমান বলব। সংসদে যেতে আগ্রহী বিএনপি নেতারা আবার বলে বেড়াচ্ছেন, জিততে না পারার জ্বালা থেকে আমাদের সংসদে যেতে বাধা দিচ্ছে। এগুলো ঠিক না। সংসদে বসার চেয়ে বেগম জিয়ার মুক্তি বিএনপির জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংসদে যাওয়ার জন্য চাপ তো রয়েছে। আমরা পড়েছি উভয় দ্বন্দ্বে। ‘জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ’ এই অবস্থায় রয়েছেন বিএনপির নির্বাচিতরা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ