রাজধানীর চুড়িহাট্টা, বনানীর এফ আর টাওয়ার ও গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেন বিএনপি-জামায়াতের বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুধু দোষ স্বীকার করেননি বরং বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক হিংস্রতার প্রস্তুতি বার্তাও দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই নেতা।
রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের যাবতীয় দায় স্বীকার করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগুন জ্বলছে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে আগুন জ্বলবে। দাবি না মানলে আগামীতে এমন আরো অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হওয়ার জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার জন্য হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, পুনরায় সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না। আগুন জ্বলছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে জ্বলবে। আগামীতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সুতরাং সময় থাকতেই সচেতন হতে হবে। নতুন নির্বাচন দিতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই বাছাই না করেই রাগের মাথায় অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ বিষয়ের দোষ মাথায় নেয়ার ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে সমালোচনা ও নানা গুঞ্জন। কার ইশারায় ডা. জাফরুল্লাহ স্পর্শকাতর বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিলেন, সেটি নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠনে বড় ভূমিকা রেখেও গণতান্ত্রিক উপায়ে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় বসাতে ব্যর্থ হওয়ায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের আভাস হিসেবেই তিনি একথাগুলো বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের গোপন নাশকতা ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। মূলত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ভয়ঙ্কর অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা-কর্মীরা। বাসে-ট্রাকে আগুন লাগিয়ে তারা মানুষ পুড়িয়েছিল। সেই পথেই যে বিএনপি-জামায়াত পুনরায় এগুচ্ছে তা বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে দেশবাসী ও সরকার উভয়ের প্রচেষ্টায় তাদের অশুভ মিশন অসফল হবে বলেও মনে করছেন তারা।
এদিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত মতামত বলে মনে করছেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ’র বয়স হয়েছে। তাই মাঝে মধ্যে ভুল-ভাল বলে থাকেন। তিনি অনেক সময় পরিস্থিতি ও পরিণতি অনুধাবন না করেই অনেক কিছু জাহির করার চেষ্টা করেন। আগুন নিয়ে তার বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্ট একমত নয়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করলেও ঐক্যফ্রন্ট করে না। আমরা লাশের বিনিময়ে ক্ষমতা চাই না। তিনি হয়ত বিএনপি-জামায়াতের অতীত কর্ম নিয়ে অনুমান নির্ভর বক্তব্য দিয়েছেন। মানুষ পুড়িয়ে রাজনীতি হয় না। এটি সম্ভবত জাফরুল্লাহ বা বিএনপি-জামায়াত বোঝে না।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ