নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সোমবার (৩১ মার্চ) আদালতে হাজির করা হয়নি। খালেদা জিয়া অসুস্থ বলে আদালতকে অবহিত করে কারা কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১ এপ্রিল) খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হয়। এতে ব্যাপক খুশি হয় বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন এ দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। যার কারণে বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হওয়ার পরও আমরা দেশের ডাক্তারদের ওপর ভরসা করতে না পেরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যেতে বলি। কিন্তু বেগম জিয়ার শারীরিক রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকগণ তাকে ঢাকায় রাখতে বলেন। তবে আমরা এতে ক্ষান্ত হয়ে বসে না থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য অন্তত সৌদি আরব পাঠাতে বলি। এতেও কাজ না হলে আমরা বেগম জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠাতে বলি। কিন্তু সেইবারও আমাদের প্রত্যাশা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত আমরা আবদার করি যে, বেগম জিয়ার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হোক। এবার বেগম জিয়া অসুস্থ হওয়ায় তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয়। এতে আমরা অত্যন্ত খুশি।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আমরা দেখছি সরকার বিষয়টা বুঝে তার চিকিৎসার বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে। বেগম জিয়ার চিকিৎসার সর্বোচ্চ ভালো পরিবেশ তৈরি করেছে সরকার। আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলাম- বেগম জিয়াকে চিকিৎসা করানো হোক। শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এই হাসপাতালের সুনিবিড় পরিবেশে বেগম জিয়ার চিকিৎসা হলে তিনি অতি-শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন বেগম জিয়া কারাগার থেকে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসের সুবাস নেবেন। আমরা আশা করছি, আর চার বছরের মধ্যেই তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যাবেন। অতঃপর ২০২৫ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলকে জয়ী করাবেন। আগামীতে বিএনপির রাজনীতিতে সুবাতাস অপেক্ষা করছে বলেই আমরা মনে করছি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ