
করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে না থেকে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে বিএনপি। ফলে দলটির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক সংকটের প্রভাবে দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ডলার সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, রিজার্ভের ওপর চাপ পড়লেও বিএনপি এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়। বরং তারা বেশ খুশি। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে তারা জনগণের মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
বস্তুত দেশে বিদ্যুতের সংকট হয়নি, উৎপাদনের সক্ষমতাও কমে যায়নি। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্যই শিডিউল মেনে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ বিএনপির নেতাকর্মীরা হারিকেন নিয়ে মিছিল করে বলছে দেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে জনমনে প্রশ্ন- বিএনপি এত খুশি কেন? দেশ শ্রীলংকা হলে তাদের কিসের সুবিধা?
মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি। অথচ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সে তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ৪৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিশ্লেষক মহল ও জনগণের প্রশ্ন- বিএনপি নেতাকর্মীরা এ দেশে বসবাস করে দেশের উন্নয়নে কিছু করছেন না। উল্টো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সবসময় ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু কেন? তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী? তারা কি চান দেশ শ্রীলংকা হয়ে যাক? নাকি বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তান বানানোর পাঁয়তারা করছেন বিএনপি নেতারা?
আলোকিত সিরাজগঞ্জ