মামুনুল হক লাইভে এসে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা দেখে অনেকের মনে হয়েছে তিনি ‘২ কান কাটা মানুষ’, যার হায়া লজ্জা বলতে কিছুই নাই এবং মিথ্যাচারে তিনি বড়ই সিদ্ধহস্ত। যদিও এটাকে তিনি তার নৈতিক শক্তি হিসেবে উত্থাপন করেছেন। লাইভে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে টেলিফোনে প্রথম স্ত্রীর সাথে মিথ্যা বলেছেন, আর সেটাকে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের জন্য অডিও ক্লিপ ফাঁসকারী তথা প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। তিনি এর আগে পুলিশ ও সাংবাদিকদের সম্পর্ক যা বলেছে আজকের লাইভে তিনি তার উল্টাে বলে আরেক দফা মিথ্যাচার করেছেন। এর আগে তিনি বলেন যে, পুলিশ ও সাংবাদিকগণ তার সাথে খুব ভালো আচরণ করেছেন।
পর্দা সম্পর্কে তিনি মিথ্যা বলেছেন। পবিত্র কোরআনের আলোকে পর্দার যে উল্লেখ করা আছে তার খেলাপ তিনি করেছেন। পবিত্র কোরআনের আয়াত দিয়ে মামুনুল হক প্রমাণ করতে পারবেন না যে, তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে বেপর্দা করা হয়েছে। ইসলামের বিভিন্ন ফেরকার লোকেরা তাঁদের স্বার্থে মহানবীর নামে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিতাবের মাধ্যমে জাল হাদিস তৈরি করেছেন। তাই তিনি জাল হাদিসের আশ্রয় নিয়ে হয়তো তার বক্তব্যের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবেন, এই আশায় তিনি এমন করছেন। এটা সবাই জানেন যে, যে হাদিস পবিত্র কোরআনের কোন আয়তের সাথে সাংঘর্ষিক, তাই জাল হাদিস।
তিনি তার লাইভের বক্তব্য জুড়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা বেশি বলেছেন, যদিও ইতিপূর্বে তিনিই তার প্রথম স্ত্রীর কাছে মিসেস ঝর্ণাকে অন্যের স্ত্রী বলে দাবি করে প্রথম স্ত্রীকে ম্যানেজ করার আকুতি জানিয়েছেন, তা দেশবাসি জানেন।
মামুনুল হক তার বক্তব্যে অশুভ উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন। এই অশুভ উদ্দেশ্য কার? সরকারের না হেফাজতের ব্যভিচারী তথাকথিত নামধারী আলেমদের? বক্তব্যর মাঝে তিনি সরকার ও প্রশাসনকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন, আগুণ নিয়ে না খেলার কথা বলেছেন। এটা কি আইনসিদ্ধ কথা? সরকার বা রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে, সরকারি আইন না মানা কী ইসলাম সমর্থন করে?
তিনি জানেন তবুও হয়তো তার ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে তাই তিনি ভুলে গেছেন যে, ‘শকুনের দোয়ায় গরু মরে না’। তার বক্তব্যে প্রশাসনকে অভিযুক্ত করার পরেও শেষে এসে তিনি আবার তাঁদের সাহায্য চান কেন?
মামুনুল হক আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। আমাদের দেশে যদিও টট আইনের প্রয়োগ খুব কম তবুও হয়তো টট আইনে তার বিচার করা সম্ভব। Sir Frederric Pollock টট আইন সম্পর্কে বলেন- এমন কোন কাজ করা বা করা হতে বিরত থাকা যা আইন সমর্থনযোগ্য নয় এবং চুক্তির সাথে সম্পর্কহীন তাকেই Tort বলা হয়। সামাজিক উৎপাত টট আইনে বিচারযোগ্য অপরাধ।
২৫ বছরকে মোটামুটিভাবে একটা জেনারেশন বা প্রজন্ম বলা হয়। নতুন প্রজন্মকে তিনি বিপথে চালিত করার জন্য ব্যভিচারকে উৎসাহিত করছেন সারা দেশ জুড়ে। তা না হলে মাত্র ২৭ বছর বয়সী মাকুন্দ (শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রাপ্ত বয়সের দাড়ি গোঁফ উঠে না এমন পুরুষ) তথাকথিত “শিশু বক্তাকে” তিনি ব্যভিচারে বা অনৈতিক কাজে প্রলুব্ধ করছেই” তাইতো সেই শিশু বক্তার মোবাইলে পাওয়া গেছে নীল ছবি। এমন অনেকেই তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন, হয়েছেন পায়ু যোদ্ধা। তিনি এমন অনৈতিক কাজ করে আগে সিরাজগঞ্জ ও মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে চাকরি হারিয়েছেন। কিন্তু তার বা তাঁদের সহযোগীদের আস্কারা পেয়ে মাদ্রাসাগুলোর অধিকাংশ হয়ে উঠেছে শিশ বলাৎকার ও ধর্ষণের অভয়ারণ্য। মামুনুল হক সম্পর্কে তার বক্তব্যে কিছুই বলেন নি। ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ