অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখল করেই দুর্নীতি, দুঃশাসন ও নৈরাজ্যে মেতে ওঠেন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বৈধতা অর্জনে বিএনপি গঠন করে জিয়া। জানা গেছে, বিএনপির পুরো শাসনামল আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলো। বিভিন্ন পন্থায় তিনি তরুণদের দুর্বৃত্তায়নের দিকে ধাবিত করেন বলে সমালোচনাও রয়েছে। জিয়ার হাতে তৈরি বিএনপি পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ও দুঃশাসনে মেতে ওঠে।
তথ্যসূত্র বলছে, স্বৈরশাসক জিয়া রাষ্ট্রীয় টাকার বিপুল অপচয় ঘটিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে নানা কৌশলে দুর্বৃত্তায়নের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আমলে যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হতো মূল বাজেট বরাদ্দের ১৩ শতাংশ, সেখানে ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে তা দাঁড়ায় ২৯ শতাংশে। দেশের যুবকদের দুর্নীতিগ্রস্ত করতে যুব কমপ্লেক্সের নামে দেশজুড়ে উন্মুক্ত-চাঁদাবাজির প্রচলন করেন জিয়া। মাত্র তিন বছরে বাংলাদেশে ৩ হাজার ৬৭০টি যুব কমপ্লেক্স করা হয়। এই যুব কমপ্লেক্সের আয়ের উৎস ছিল দেশের হাট-বাজার ও মেলা থেকে আদায়কৃত টাকা। ১৯৭৯-৮০, ১৯৮০-৮১ এই দুই অর্থবছরে বাজার ও মেলা থেকে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা। এসব টাকা গেছে যুব কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত সমবায় সমিতির পাণ্ডাদের পকেটে। এসময় জিয়া চোখ বন্ধ করে ছিলেন কারণ সন্ত্রাসীরা জিয়ার রাজনৈতিক সমর্থক ছিলো।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের যেসব সম্পত্তি জাতীয়করণ করেছিলেন, তা জিয়া তাদের ফিরিয়ে দেন। যাদের ফিরিয়ে দিতে পারেননি তাদের ক্ষতিপূরণ দেন। জিয়া মদ, জুয়া ও পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স প্রদান করে সমাজ নষ্টের বিষবৃক্ষ রোপণ করেন। তখনকার প্রজন্মকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছিলেন জিয়া। গ্রাম্য যুবকদের তিনি হাট-বাজারের ইজারার অধিকার দিয়ে দলীয় ক্যাডারে পরিণত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের নষ্ট রাজনীতির পঙ্কিল পথে টেনে আনেন। এসব মেধাবী ছাত্ররা লেখাপড়া ভুলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, তদবিরবাজি, হলের সিট ভাড়া ইত্যাদি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়। জিয়ার পুরো শাসনামলে দেশে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। দুর্নীতির কারণে পিছিয়ে পড়ে দেশ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ