তবে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর এই আসনের উপ-নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছে বিএনপি। জাপার ঘাঁটিতে অতিথি প্রার্থীর পরাজয় জেনে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী দলীয় প্রার্থী রিটা রহমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
রংপুর জেলা বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত এক নেতার সাথে কথা বলে এমন গুঞ্জনের বিষয়ে জানা গেছে।
বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু বলেন, আমরা শুরু থেকেই রিটা রহমানের মতো প্রশ্নবিদ্ধ ও অতিথি প্রার্থীকে নিয়ে সংশয়ের মধ্যে ছিলাম। রংপুরের এই আসনে বিএনপির দাপট কম। এটি মূলত জাতীয় পার্টি দুর্গ। এরপরও দল যেহেতু রিটা রহমানকে মনোনীত করেছে, আমরাও পাশে থেকে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই আশায় গুড়েবালি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় দ্বিগুণ চাপে পড়েছে বিএনপি। কারণ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তো আর বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দিবেন না! সুতরাং সেই ভোট পাবেন এরশাদের পুত্র। দুই আর দুই মিলে হবে চার। আর আমাদের শিবিরে যে বিভক্তি ও অবিশ্বাস রয়েছে, তাতে দলীয় ভোট পাওয়া নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি বিভেদ দূর করে রিটা রহমানকে জয়ী করে ইতিহাস গড়তে। চাপের নয় আমরা কৌশলের রাজনীতি করে বিএনপিকে এই আসন উপহার দিতে চাই।