তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এরইমধ্যে স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুল শহীদ এবং বিএনপির তৃণমূল কর্মী দোলন মিয়া ও আনছার মিয়াকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বর্তমানে তাদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে এসব অস্ত্র দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে কোন কোন নেতা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বিষয়ে তারা কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে ‘লাকাট হাট’ এলাকার এক ভারতীয় খাসিয়া অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। সপ্তাহে তিন দিন সীমান্ত হাট বসে। সেই হাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে মিলিত হন সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকরা। ওই খাসিয়া সীমান্ত হাটে অস্ত্র হাতবদল করে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দির নোয়াগাঁওয়ের আরব আলীর কাছে দেন। আরব আলী সেই অস্ত্র সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। আরব আলী গ্রেফতার হলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের পরিচয় পাওয়া সম্ভব। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, অবৈধ অস্ত্র পাচারের নতুন রুটের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বের করার চেষ্টা চলছে। অত্যাধুনিক একে-২২ রাইফেল জব্দ করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কারণ ২০১৬ সালে হলি আর্টিসানে হামলা, নারায়ণগঞ্জে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর আস্তানা, বগুড়া ও রংপুর থেকে একই ধরণের ভারী অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। ফলে নতুন অস্ত্র চোরাচালান সেরকম আরেকটি পরিকল্পনারই অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাদের এই পরিকল্পনা রুখে দিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ