মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সামনে ঈদ, দম ফেলার সময় নেই উল্লাপাড়ার তাঁত শ্রমিকদের

সামনে ঈদ, দম ফেলার সময় নেই উল্লাপাড়ার তাঁত শ্রমিকদের

ঈদ-উল-আযহার শুরুতেই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার তাঁত পল্লীগুলো। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা পাওয়ারলুম-হস্তচালিত তাঁতে নিখুঁতভাবে তৈরি করছেন গামছা, জামদানি, সুতি কাতান, সুতি জামদানি, সিল্ক শাড়ি, বেনারসি শাড়ি, শেড শাড়ি, থ্রি-পিচ এবং হরেক রকমের লুঙ্গি।

আবার কাপড়ের উপর প্রিন্ট এবং রঙ তুলির আঁচড়ে এবং হাতে করছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নকশা। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার তৈরি শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে প্রতিনিয়তই রং-সুতাসহ উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেলেও খুব একটা বাড়ছে না কাপড়ের দাম। দাম প্রায় একই থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁতিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লাপাড়ার আমডাঙ্গা, পাঁচিলায়া, তিয়রহাটী, অলিপুর, দুর্গাপুর, বড়হর, সড়াতৈল গ্রামের তাঁত কারখানাগুলো খটখট শব্দে মুখরিত। ঈদকে ঘিরে বাড়তি আয়ের আশায় তাঁত কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাঁত পল্লীগুলোতে নারী-পুরুষদের কেউবা নাটাই ঘুড়িয়ে সুতা কাটছে, কেউবা নলিতে সুতা কাটছে, আবার কেউবা কাপড় ছেঁটে কাপড় গুছিয়ে রাখছে। সব মিলিয়ে শ্রমিকদের যেন দম ফেলানোর ফুরসত নেই।

বিশেষ করে এ অঞ্চলের তাঁত কারখানা ঘিরে ঈদে দেশের বিভিন্ন নামি দামি ব্র্যান্ডের শো-রুমে এ কারখানার কাপড় যাচ্ছে ঈদে। স্ট্যান্ডার্ড, আমানত শাহ, ফজর আলী, বৈঠক, বোখারী, মেমোরি, বাবা, পাকিজা, ফাইভ স্টার, অনুসন্ধান, বসুন্ধরা, আড়ংসহ দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো এখানে শো-রুম খুলেছে। এ সব কোম্পানিগুলো অফ সিজনে তাদের দেওয়া ডিজাইনে তাঁতিদের কাছ থেকে হাজার হাজার পিস শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা কম মূল্যে কিনে মজুদ করে রাখেন। পরে সিজনের সময় নিজেদের লেভেল লাগিয়ে দ্বিগুণ দামে দেশের বিভিন্ন স্থান এমনকি সৌদি আরব, দুবাই, ভারতসহ বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করছেন।

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের তাঁত শ্রমিক, মোঃ মানিক সরকার জানান, ‘আমাদের তাঁত শ্রমিকদের কোন বোনাস নেই। কাজ করলে মালিকরা টাকা দেয় না করলে কোন টাকা পাই না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবে ঈদ কাটানোর জন্য একটু বেশি কাজ করছি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া কুরবানির ঈদে খরচ একটু বেশি হয় তাই পরিশ্রম বেশি করতে হচ্ছে।’

একই গ্রামের তাঁত শ্রমিক স্বদেশ সরকার বলেন, ‘এবারের ঈদের আগে থেকে কাজ করছি নিয়মিত। আশাকরি এবার পরিবারের সাথে অনন্দে ঈদ কটাতে পারবো যদি গামছার দাম একটু বেশি থাকে।’

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর