সিরাজগঞ্জ সদরে একই দিনে ০২(দুই) স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান। শুক্রবার দুপুরে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌরসভার চককোবদাসপাড়ায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ তানিয়া খাতুন (১৩), বিকাল ৫ টায় কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাশিয়াহাটা গ্রামে দশম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ খাদিজা খাতুন (১৫) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌরসভার চককোবদাসপাড়া গ্রামে সংগীয় ফোর্স নিয়ে কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে চককোবদাসপাড়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুন (১৩) এর সাথে বর একই উপজেলার হরিনা গোপাল আদর্শ গ্রামের আঃ রহমান এর পুত্র লাদেন (২৪) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়। কনে হৈমবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়ে কনের মায়ের কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা নেন এবং বর লাদেন শেখ ও কনের মা রুমা খাতুন এর প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা কনেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর বিকাল ৫ টায় সিরাজগঞ্জ সদরের কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাশিয়াহাটা এলাকায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে কাশিয়াহাটা গ্রামের আঃ আলীমের কন্যা খাদিজা খাতুন (১৫) এর সাথে বর কাদাই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান এর পুত্র রাসেল (২১) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে তেতুলিয়া চুনিয়াহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।
পরে প্রত্যেক ক্ষেত্রে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, আনসার ব্যাটালিয়ন পি.সি নুরুল ইসলাম ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যবৃন্দ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ