• সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২২ ১৪৩০

  • || ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সিরাজগঞ্জে শেখ রাসেল বিনা-২৫ ধান আবাদে কৃষকের বাম্পার ফলন

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৩  

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রথম বারের মত পরীক্ষামূলক শেখ রাসেল বিনা ধান-২৫ জাতের ধান আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ছয় কৃষক। তুলনামূলক অনান্য ধানের জাতের চেয়ে শেখ রাসেল বিনা ধান- ২৫ আবাদে কম রাসানিক সার, কীটনাশক, সেচ খরচ কম লাগে।

এ ছাড়া খরা, অতি, অনাবৃষ্টি এবং রোগ-বালাই সহিষ্ণু বোরো মৌসুমে এ জাতের ধানের বাম্পার ফলনের কারণে এলাকার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক মাঝে সাড়া ফেলেছে। জানা গেছে, উপজেলার তালম ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের কৃষক মো. শহিদুল ইসলাম বোরো মৌসুমে তাঁর জমিতে আবাদ করার জন্য পাবনা জেলার ঈশ্বরদী পরমানু গবেষণা ইনস্টিটিশানের বিনা ধান উপ-কেন্দ্র থেকে দুই মণ শেখ রাসেল বিনা ধান-২৫ এর বীজ সংগ্রহ করেন।

তারপর তিনি সে ধানের বীজতলা তৈরি করেন। পরে বোরো মৌসুমের শুরুতেই তার ৬ বিঘা জমিতে বিনা ধান-২৫ লাগান। পাশাপাশি এ জাতের ধানের আবাদ করার জন্য তাঁর পরিচিতি কৃষক গুল্টা গ্রামের ইসলাম হোসেন, গোলাপুর গ্রামের ময়নাল হোসেন, তালম গ্রামের সঞ্জু সরকারসহ পাঁচ জনকে বীজ প্রদান করেন।
পরীক্ষামূলক শেখ রাসেল বিনা ধান-২৫ এর আবাদ করা কৃষক মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) জানান, শখ থেকেই তিনি শেখ রাসেল বিনা ধান- ২৫‘র আবাদ করেন।

বোরো মৌসুমে এলাকার কৃষকদের বড় একটি অংশ ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৯০, কাটারীভোগ ও স্থানীয় আব্দুল গুটি জাতের ধানের আবাদ করেন। যা উঠতে সময় লাগে প্রায় ১৬০ দিন। অথচ বিনা ধান-২৫ ধান উঠতে তাঁর সময় লাগল ১৪৫ দিন। এতে ১৫ দিন  সময় সাশ্রয় হলো। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ২৫ মণ হারে।

গুল্টা গ্রামের আরেক কৃষক ইসলাম হোসেন জানিয়েছেন, বিনা ধান-২৫ এ ফলন হয়েছে বিঘায় গড়ে ২৭ মণ হারে। এ জাতের ধানের ফলন ও উৎপাদন খরচ কম। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাড়াশ উপজেলার প্রথম বারের মত পরীক্ষামূলক শেখ রাসেল বিনা ধান-২৫ আবাদ করা ৬ জন কৃষক বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

তাই যে সকল কৃষক আগামী দিনে এ জাতের ধানের আবাদ করবেন তাঁদের তাড়াশ উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ