মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে বাড়ছে কার্পাস তুলার ফলন

সিরাজগঞ্জে বাড়ছে কার্পাস তুলার ফলন

সিরাজগঞ্জে ঝিমিয়ে পড়া কার্পাস তুলা চাষে প্রাণ ফিরেছে। চলতি মৌসুমে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে অন্তত ১ হাজার ৪০০ কৃষক তুলা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। জেলার রায়গঞ্জ, সদর, কামারখন্দ ও আংশিক উল্লাপাড়া উপজেলায় এ কাপার্স তুলা চাষ হচ্ছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত বছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন। এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। এ হারে কৃষকের আয় হবে মোট মূল্যের ৭০ ভাগ। এ মৌসুমে তুলা চাষে অনেকের ভাগ্যবদল হওয়ায় ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি মানবকণ্ঠ'কে জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় সিরাজগঞ্জের চারটি উপজেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা এবার তুলা চাষ করছেন। এতে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। প্রথম দিকে তাদের আগ্রহ কম থাকলেও এখন তা বাড়ছে।

সম্প্রতি রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রম্মগাছা ইউনিয়নের বারইভাগ এলাকার তুলা চাষি সাইফুল ইসলামের (৬৫) তুলা ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, পাকা তুলায় ক্ষেত সাদা হয়ে আছে। জমির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ তুলা পেকে গেছে। এ সময় চাষি সাইফুল জানান, গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে নিজের শ্রম বাদে তুলা চাষে খরচ হয়েছিল তার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। অপরদিকে উৎপাদিত তুলা বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা।

এবার দুই বিঘা জমিতে তুলা চাষে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে গত বছরের চেয়ে এ মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় ১ লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের তুলা চাষি মোকাদ্দেস ইসলাম জানান, অন্যান্য ফসল উৎপাদনে ব্যয় ও ঝুঁকি বেশি হলেও কাপার্স তুলা চাষে খরচ কয়েকগুন কম। তিনি সরকারিভাবে বীজ, সার ও ওষুধ পেয়ে চলতি মৌসুমে কার্পাস তুলা চাষ করেছে ৩৫ শতক জমিতে।

রায়গঞ্জ উপজেলার কটন ইউনিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রান্তিক কৃষকেরা খরচ কম হওয়ায় কার্পাস তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আগামীতে তুলা চাষে এ এলাকার কৃষকের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামিনুর ইসলাম (শামীম) বলেন, 'পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্যের পরেই বস্ত্রের অবস্থান। আর এ বস্ত্রের ৭০ ভাগ আসে তুলা থেকে। তাই তুলা চাষ কৃষি অফিসের আওতায় না হলেও সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতা করার মনোভাব নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।'

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর