বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার উত্তর অঞ্চলের কৃষকরা। আমন ধানে ফলন কম হলেও ভালো দাম পাওয়ায় এবার বোরো ধানের ভালো দাম নিতে চান তারা। এ কারণে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের চাষিরা এখন বোরো ধানের চারা রোপণের সাথে বুনছেন নতুন স্বপ্ন।
ভোরের শীতের হিমেল হাওয়া আর রোদেলা সকাল উপেক্ষা করে জমিতে চলছে চাষ। লাঙ্গল ও ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বোরো ক্ষেত। জমিতে দেয়া হচ্ছে সার ও সেচ। কাদামাখা হাত-পায়ে ক্লান্তি ভরা দেহে নেই থেমে থাকার রেশ। সারিবদ্ধভাবে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা গড়িয়েও জমিতে তাদের দেখা মিলছে। যেন তাড়াশের উত্তর অঞ্চলের কৃষি জমিগুলো কৃষাণ-কৃষাণীরা স্বপ্ন বুননের প্রতিযোগিতায় মুখর।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের গুড়মা গ্রামের কৃষক আলতাব সরকার জানান, বোরো রোপণের জন্য ৩০বিঘা জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে এখন বোরো রোপণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ফলন হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আব্দুল বাছেদ বলেন, এবার আমন ধান ফলন কম হলেও ভালো দাম পাইছি। চাষাবাদ করেই আমাদের জীবন চলে। লাভ হোক আর লোকসান হউক কিছু করা লাগবে তো।
এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দাম যদি ঠিকমতো থাকে তাহলে আমাদের লাভ হবে। নানান কারণে ধান উৎপাদনে খরচ বাড়লেও বিক্রয়ে মিলছে ভালো দাম। প্রান্তিক চাষিরা বোরো ধানকে ঘিরে এবার আশায় বুক বেঁধেছেন।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাড়াশের উত্তর অঞ্চলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো ধান রোপণের জন্য কৃষকদের লাইন, লোগো, পার্চিং ও সুষম সার প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরোর বাম্পার ফলন হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ