স্বাদে অতুলনীয় সিরাজগঞ্জের কুমড়ো বড়ি
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

দেখতে যেমন সুন্দর, খেতে তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু। শীতের খাবারে মুখরোচক স্বাদ আনতে মাছ-সবজিতে কুমড়ো বড়ির প্রচলন দীর্ঘদিনের। শীতকে কেন্দ্র করে যতœসহ শৈল্পিকভাবে এই খাদ্য তৈরি করছেন সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা। এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করেও অনেকে সংসারে আনেন সচ্ছলতা। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু কুমড়া বড়ি তৈরির কাজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
জানা যায়, শীত মৌসুমে বাজারে নানা ধরনের সবজির সমাহার দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলের নদী ও খাল-বিলে এই সময়ে পানি কম থাকে। এই সময়ে মাছের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের সবজিও বাজারে ওঠে। এই সবজি আর মাছ রান্নায় ভোজনরসিকরা খাবারে ব্যবহার করেন ঐতিহ্যবাহী কুমড়ো বড়ি। কিন্তু কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও সুস্বাদু এই কুমড়া বড়ি তৈরি করতে পারেন না। সেই চাহিদার অনেকাংশ পূরণ করছেন সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা।
কারিগররা জানান, দেশীয় উপাদানে তৈরি হয় কুমড়ো বড়ি। প্রথমে গাছপাকা সাদা বর্ণের চালকুমড়ো কুচি কুচি করে কাটতে হয়। তারপরে কলাইয়ের ডাল ভিজিয়ে পাটায় বেটে, চালকুমড়ো আর কলায়ের ডাল একসঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ভালো করে মাখিয়ে বাঁশের চাটাইয়ের ওপরে ছোট ছোট করে বড়ি তৈরি করে বিছিয়ে দেয়া হয়। দুই-তিন দিন ভালো করে রোদে শুকালেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায় সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি।
শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি গ্রামের কুমড়া বড়ি তৈরির কারিগর জাহানারা খাতুন বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করছি। মাষকলাইয়ের ডাল আর চালকুমড়োর মিশ্রণে রোদে শুকিয়ে তৈরি করতে হয় এই বড়ি। কুমড়ো বড়ি দিয়ে কৈ, শিং বা শোল মাছের ঝোল ভোজনরসিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ও সুসাদু। এই কুমড়ো বড়ি তৈরির উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল। এ কারণে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে কুমড়ো বড়ি তৈরির ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আমার মতো এখন এলাকার শত শত নারী কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আরেকজন মনোয়ারা খাতুন জানান, শীত মৌসুমে কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম পড়ে যায়। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রি করা হয়। শীতের সময় ব্যাপক চাহিদা থাকায় গ্রামাঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়ো বড়ি তৈরি করেছেন।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের বড়ি তৈরির কারিগর আব্দুল মতিন বলেন, এই বড়ি আমরা বংশপরম্পরায় তৈরি করে থাকি। আমার বাপ-দাদা তৈরি করেছেন, আমি তৈরি করেছি, এখন আমার ছেলে আর নাতিপুতি তৈরি করছে। বর্তমানে এই গ্রামের ২০ থেকে ২৫টি পরিবার কুমড়ো বড়ি তৈরি করে। সেই বড়িগুলো স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে তারা বাড়তি আয় করছেন। শীতের সবজির সঙ্গে কুমড়ো বড়ির একটা যোগসূত্র খুঁজে পান অনেকেই। তাই চাহিদাও বেড়েছে এ সময়।
আরেক কারিগর আল-আমিন বলেন, একটা সময় কুমড়ো বড়ি তৈরির জন্য শীলপাটায় সারারাত ধরে পরিবারের মেয়েরা ডাল বাটতেন। পরের দিন তা বড়ি বানিয়ে শুকাতে দেয়া হতো। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ছেলেমেয়েরা ব্লেন্ডার মেশিনের সাহায্যে ঘণ্টার মধ্যেই অনেক ডাল পিষে বড়ি তৈরি করে ফেলে। এই বড়ি তৈরি করার আগে পারিবারিক অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না। সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত।
উপজেলার নওগাঁ গ্রামের কুমড়ো বড়ি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে মাষকলাই ডালের কুমড়ো বড়ি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, মসুর ডালের কুমড়ো বড়ি ১৪০ টাকা কেজি। আর অ্যাংকার ডালের কুমড়ো বড়ি প্রতি কেজি ১০০ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রিতে কেজিতে আরও ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হলেও আগের মতো ক্রেতা নেই। সম্প্রতি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষের কেনাকাটা কমে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, মাচা ও টিনের চালে কৃষকরা চালকুমড়োর চাষ করে থাকেন। উৎপাদিত চালকুমড়ো থেকে এসব বড়ি তৈরি করা হয়। বড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ চালকুমড়োর চাহিদা বাড়ে। তাই অনেক কৃষক চালকুমড়োও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। গ্রামের নারীরা কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বাড়তি আয় করছেন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
যুব উন্নয়ন অফিসার আ ফ ম নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কুমড়ো বড়ি তৈরি করে অনেক যুবকদের বেকার সমস্যা দূর হচ্ছে। আমাদের অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ করিয়ে ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রাশেদুল রহমান বলেন, এই কুমড়ো বড়ি গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্যের অংশ। এই কাজের সঙ্গে বেশিরভাগ নারী শ্রমিক কাজ করে থাকেন। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য বড়ি তৈরির কারিগরদের একটি তালিকা করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণসহ স্বল্প সুদে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে আমরা সবসময় পাশে আছি। বিশেষ করে নারী ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তা যদি আমাদের কাছে আবেদন করে, তবে অবশ্যই তাকে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।

- মামলায় সরকারি সাক্ষীদের খরচ দেয়ার নির্দেশ
- ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসের এলাকা পুনর্নির্ধারণ
- সরকার ১৮৬টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে
- রামপালে জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু
- ফাস্ট ট্র্যাকে সাড়ে পাঁচ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
- রমজানে বিনা মূল্যে চাল পাবে ১ কোটি পরিবার
- গঙ্গা বিলাসের যাত্রীদের স্বাগত জানালেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
- ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সিনেটরের সহায়তার আশ্বাস
- পদ্মা সেতুতে ২২০ দিনে টোল আদায় ৪৭১ কোটি টাকা
- ফেসবুক ব্যবহারে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের তালিকায়
- নভেম্বরে তফসিল ডিসেম্বরে ভোট
- গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
- বিপিএলে পারিশ্রমিক জটিলতা, ঢাকার ক্রিকেটারদের পাশে বিসিবি
- ভিক্ষা করে দুই নাতনির পড়ার খরচ চলান বৃদ্ধা দাদি
- তাড়াশে শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বরণ অনুষ্ঠান
- সিরাজগঞ্জের অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ করেন মিল্লাত
- বেলকুচিতে অসহায়দের মাঝে সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের কম্বল বিতরণ
- হাজী আহম্মেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশে মিল্লাত এমপি
- নিপা ভাইরাস খুবই মারাত্মক, এর ওষুধ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সিরাজগঞ্জে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- উল্লাপাড়ায় শতাধিক কবরস্থানকে আলোকিত করলেন পৌর মেয়র নজরুল
- এপ্রিলেই মিলবে ক্ষতিপূরণের ১২০ কোটি টাকা
- জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সহ-সভাপতি হলো বাংলাদেশ
- ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন হচ্ছে
- নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- রোজা উপলক্ষে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি
- ২৮ জেলায় বিশেষ সতর্কতা,ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুতের নির্দেশ
- বাংলাদেশ-ভারত অকৃত্রিম বন্ধু: প্রণয় ভার্মা
- দেশের জিন্সের বাজারে ৮৫% চাহিদা মেটাচ্ছে
- গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- কুল চাষে নড়াইলের রাকিবের ভাগ্যবদল
- শাহজাদপুরে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মালচিং শীটে স্কোয়াশের হাসি
- একটি ছাগল দিয়ে শুরু করে কোটিপতি তরুণ উদ্যোক্তা রাসেল!
- কনুই দিয়ে লিখে সব ক্লাসে প্রথম আরাফাত
- সিরাজগঞ্জে ধূমপান ও তামাক প্রতিরোধে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- কামারখন্দে ৯১ হেক্টর জমিতে বেগুনের বাম্পার ফলন
- উল্লাপাড়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে খিরা চাষে বাম্পার ফলন
- মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন শিবচরের কৃষকরা!
- ৩টি গরু দিয়ে শুরু করে কোটি টাকার খামারের মালিক নাসরিন!
- ৫০০০ মানুষ পেয়েছে ডা. মিল্লাত এমপি’র বিনামূল্য স্বাস্থ্যসেবা
- প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে রাসেলের চমক!
- চৌহালীতে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা
- সিরাজগঞ্জে ৫১তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- কামারখন্দে রবি মৌসুমের সরিষা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
- ছাগলের দুধ বিক্রিতে নুর হোসেনের চমক, মাসিক আয় ২৮ হাজার টাকা!
- নড়াইলে কুল চাষে রাকিবুলের ভাগ্যবদল
- কামারখন্দে মুগবেলাই গ্রামের মজনু ক্যাপসিকাম চাষে স্বাবলম্বী
- ৫ জাতের বরই চাষে রফিকুলের ৮ লাখ টাকা লাভের আশা!
- ভাপা পুলি পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি
- সিরাজগঞ্জে সরিষা ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা
