মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ফুলকপি চাষে লাভবান রায়গঞ্জের কৃষকরা

ফুলকপি চাষে লাভবান রায়গঞ্জের কৃষকরা

আগামজাতের ফুলকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। বছরের পুরোটা সময় তারা ‘আগাম জাতের’ ফুলকপি চাষ করছেন। ফুলকপির ভরা মৌসুমে ভালো দাম না পেলেও অসময়ে ফুলকপি বিক্রি করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা। তাই আগাম জাতের ফুলকপির দিকেই ঝুঁকছেন চাষিরা।

ধানসহ অন্যান্য ফসলে চাষিরা যখন লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখ দেখছেন, তখন আগাম ফুলকপি চাষ করে লাভবানের স্বপ্ন বুনছেন রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের এ ফুলকপি চাষ করেছেন।

রায়গঞ্জের দাদপুর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ধান-গম চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। তাই ফুলকপি চাষ করেছি। শীতকালে ফুলকপির ভরা মৌসুমে দাম একটু কম হয়। তবে শীতের প্রথম সময়ে বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই আমরা এখন আগাম ফুলকপি চাষ করছি। বিক্রিরও তেমন ঝামেলা নেই। মাঠ থেকেই আগাম পাইকারি ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, তিনি এবছর ২৫ শতক জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করেছেন। এর আগে দেখা যেত ভরা শীতকালে জমিতে ফুলকপির চাষ হতো। সে সময় ভালো দাম পাওয়া যেতো না। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমরা এখন আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করি।

রায়গঞ্জের কৃষকের ফুলকপি ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও সিলেটে রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় হাট-বাজার ও সিরাজগঞ্জ শহরেও বিক্রি হচ্ছে। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজের তুলনায় অধিক লাভ এই আগাম ফুলকপিতে। তাই এই অঞ্চলের মানুষ এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, রায়গঞ্জ উপজেলার এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। চাষিরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। সাধারণত শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ