সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নিজ ঘর থেকে রতন প্রামানিক (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জুন) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতের কোনও একসময়ে তার মৃত্যু হয়। তার আগে সোমবার (১৩ জুন) বিয়ে করে ঘরে নতুন বউ নিয়ে আসেন এই যুবক।
বিয়ের পরের রাতেই মারা যাওয়ার ঘটনায় তার মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের রহস্যের তৈরি হয়েছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। তবে এলাকাবাসী বলছেন এটা আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। নিহত রতন প্রামানিক জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের সাত টিকরি দক্ষিণপাড়া গ্রামের জয়নাল প্রামাণিকের একমাত্র ছেলে ও পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রি।
এদিকে একমাত্র ছেলের এমন অকাল প্রয়াণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুস (৬২) বলেন, সোমবার (১৫ জুন) উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া গ্রামের আসাদুল প্রামানিকের মেয়ে মোছা. আয়শা খাতুনকে বিয়ে করে রতন। তার পরের রাতেই গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।
তবে আমাদের জানা মতে এদের সংসারে কোনো সমস্যা নাই এবং বাইরেও কোন শত্রু নেই। তবে আগের রাতেই বিয়ে করার পরে হঠাৎ কি হল তা বলতে পারছিনা। তবে আমরা মনে করছি সে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বড়বোন মোছা রত্না খাতুন (২৬) বলেন, রাত ১০টার দিকে রতনকে ঘরে রেখে আসলাম। সকাল ৫ টার দিকে উঠে রতনকে ডাক দেই। পরে তার নতুন বউ ঘর খুলে দেয়। খোলার পরে ভিতরে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ার সাথে রতনের মরদেহ ঝুলে আছে। পরে রতনের বউকে জিজ্ঞেস করলে সে মাত্রই দেখলো বলে জানায়।
রতনের স্ত্রী আয়শা খাতুন (১৬) বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। তখন রতন মোবাইলে গান শুনছিল। এর মাঝে আমি আর কিছুই জানিনা। সকালে আপা (ননদ) এসে ডাক দিলে দরজা খুলি। তখন ঘরে আলো আসলে রতনকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে থাকতে দেখি।
স্থানীয় সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আব্দুল আলীম বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সবার সঙ্গে কথা বলে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই আছি। মরদেহের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। সবার সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারন জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
