বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মৌচাষ করে সিরাজগঞ্জের আসাদুলের আয় ২৫ লাখ টাকা

মৌচাষ করে সিরাজগঞ্জের আসাদুলের আয় ২৫ লাখ টাকা

মৌচাষ করে এক যুগে ২৫ লাখ টাকা আয় করেছেন সিরাজগঞ্জের আসাদুল। এক সময় ছিলেন তাঁত শ্রমিক। সারাদিন কাজ করে মজুরী পেতেন ১০০ টাকা। এতে সংসার চলতো না ঠিকমত। অন্যের পরামর্শে ৩০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি করে  শুরু করেন মৌমাছি লালন পান। মধু সংগ্রহকে বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করে আসাদুল এখন স্বাবলম্বি। এক সময়ের তাঁত শ্রমিক আসাদুল এখন নিজেই শ্রমিক খাটান তার মৌ চাষে।

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার হাট পাঙ্গাসী গ্রামের বাসিন্দা আসাদুলের সাথে কথা হয় বগুড়া সদরের শাখারিয়া জঙ্গলপাড়া গ্রামে। এই গ্রামের সড়কের পার্শ্বে এবং বিভিন্ন ফলে বাগানে চোখে পড়ে সারি সারি মৌমাছির বক্স। ফলের বাগান থেকে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি চলছে মৌমাছি লালন পালন।

মৌ চাষী আসাদুল ইসলাম  বলেন, “ফুলে মৌমাছি বসলে দ্রুত পরাগায়ন হয় ফলে  জমির ধারে এই বক্স বসিয়েছি।এখন জমিতে তেমন ফসল না থাকায় মধু সংগ্রহ তেমন হচ্ছে না। মৌমাছিগুলোকে লালন পালন করাই এখন প্রধান কাজ। তাই মৌমাছিকে বাড়তি খাবার হিসাবে চিনির তৈরি শিরা খাওয়াতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,ফুলে কিছু মিষ্টি জাতীয় তরল পদার্থ থাকে যা মৌমাছি না বসলে অন্যান্য কীটপ্রতঙ্গ খেয়ে ফেলে এবং ওই বিষাক্ততায় ফল খারাপ হয়। মৌমাছি ওই রস তুলে আনলে ফলন আরও ভালো হয়।”তাই আমরা আম,লিচু বাগানর বক্স বসিয়েছি।

তিনি বলেন আমি এখানে ১০/১৫ দিন আগে ৪৫০টি বক্স নিয়ে এসেছি, এক বাগানে  ২৮০টি আরেকটিতে  ১৭০টি বক্স বসানো আছে। সরিষা মৌসুমে তিনি বগুড়া জেলার কাহালুতে আসেন মধু সংগ্রহ করতে। এবার এসেছেন বগুড়া সদরের জঙ্গল পাড়ায় আসালত জামান মাস্টারের লিচু ও ইউক্যালিপটাস বাগান ভাড়া নিয়ে বক্স বসিয়েছেন। বৈশাখ  থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মৌমাছি লালন পালন করবেন তিনি। কার্তিক মাস  থেকে চৈত্র মাস মধু সংগ্রহের মৌসুম। পুরো মৌসুমে প্রতিটি বক্স থেকে ৫০ কেজির মতো মধু সংগ্রহ হয়। প্রতি বক্সে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকা। এভাবেই ১২ বছরে তিনি আয় করেছেন ২৫ লাখ টাকা। গরু বিক্রির  ৩০ হাজার টাকায় ১০ টি বক্স কিনে  শুরু করেন তার মৌ চাষ। বর্তমানে তার প্রায় ৫০০ বক্সে  ১২ লাখ টাকার মৌমাছি আছে। মৌসুমে প্রতি বক্স থেকে ৬ হাজার টাকার মধু সংগ্রহ করে থাকেন। লিচু ফুলের মধু ২৫০ টাকা কেজি,সরিষা ফুলের মধু  ১৫০ টাকা কেজি, কালোজিরা ফুলের মধু ৫০০ টাকা কেজি,মিষ্টি কুমড়া ফুলের মধু ২০০ টাকা কেজি,বড়ই ফুলের মধু ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। পাইকারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন কোম্পানী মধু কিনে থাকেন। তিনি বলেন যদি সরকারি ভাবে এই মধু বাজার জাত ,আর মূল্য নির্ধারণ করা হতো তাহলে মৌ চাষিরা উপকৃত হতো।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই