সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর গ্রামের মোছাঃ জায়দা বেগম (৪০)। স্বামী মারা গেছেন প্রায় তিন বছর আগে। তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ছাপড়া ঘরে। পাকা বাড়িতে থাকাটা ছিলো তাঁর স্বপ্নের মতো। তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেনি যে তাঁর তিন কন্যা সন্তান নিয়ে পাকা বাড়িতে থাকবেন। কিন্তু সেটাই এখন বাস্তব হলো গ্রামের আট-দশ জন ধনী ব্যক্তিদের মতো তিনিও তাঁর কন্যা সন্তানদের নিয়ে পাকা বাড়িতে থাকছেন।
পুলিশের মাধ্যমে ঘর পেয়ে মোছাঃ জায়দা বেগম আবেগে আপ্লূত হয়ে বলেন,স্বামী রফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রায় তিন বছর আগে মারা যায়। তাঁর স্বামীর আয়ে চলতো তাঁদের ৫ সদস্যসের সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার পর পাকা বাড়িতে থাকা দূরের কথা কিভাবে তিন কন্যা সন্তান নিয়ে চলবেন সেই দূচিন্তায় দিন পার করতেন তিনি।
তিনি বলেন, রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান তাকে কামারখন্দ থানায় নিয়ে যায় এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাথে কথা বলে তাঁর কাগজ পত্র জমা দেন।
বিধবা জায়েদা খাতুন আরও বলেন, পাকা বাড়ি পেয়ে তাঁর কষ্ট দূর হয়েছে। তিনি পুলিশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি পাকা বাড়ি পাওয়ায় সারাজীবন পুলিশ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন বলেও জানায়।
কামারখন্দ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ বলেন, গত রোববার (১০ এপ্রিল) সারাদেশে একযোগে ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনে জায়দা বেগমের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করে কামারখন্দ থানা পুলিশ। তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, পুলিশ জনগণের পাশে থেকে পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষভাবে সারাজীবন মানুষের সেবা করে যাবেন বলে তিনি জানায়৷
আলোকিত সিরাজগঞ্জ