শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জের যমুনার চরের কৃষকদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরছে

সিরাজগঞ্জের যমুনার চরের কৃষকদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরছে

সিরাজগঞ্জে যমুনার বুক জুড়ে জেগে উঠা বিশাল চর এখন নানা ফসলের সমারোহ। কৃষক পরিবারগুলোতে ফিরছে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা।বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ষাথে সাথে জমিগুলোতে নতুন পলি পরায় জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় অল্প খরচে প্রচুর পরিমাণ ফসল জন্মেছে। ইতোমধ্যেই জেলার কাজিপুর থেকে শুরু করে চৌহালি পর্যন্ত অসংখ্য চরে নানা ধরনের সব্জি সহ বাদাম, ভুট্টা, গম, মরিচ, পিয়াজ, রসুন ধান সহ নানা ধরনের ফসলের ব্যাপক চাষ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর যমুনা চরে ৭৪০০ হেক্টর ভুট্টা, ৫১৪০ হেক্টর বাদাম, ১০০০ হেক্টর মরিচ, ৩৫০০ হেক্টর খেসারী, ২৫৫০ হেক্টর মসুর, ৩৪৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়েছে। নতুন পলিমাটিতে এইসব ফসলের ফলন ও হয়েছে বেশ ভালো। এতে এই সব চরের কৃষকরা খুব খুশি।

জানা গেছে, প্রতি হাটেই লক্ষ লক্ষ টাকার শুধু মরিচই বিক্রি হয়। নাটুয়া পাড়া চরের কৃষক আমীর আলী জানান, প্রতি বছরই তারা নদীর পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন পলি মাটি পরা জমিতে মরিচ চাষ করেন। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মরিচের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবছর তিনি ২ বিঘা জমিতে লক্ষাধিক টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

ইতোমধ্যেই সিরাজগঞ্জের চরে উৎপাদিত মরিচের সুনাম সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেতুর পর থেকেই অনেক চরই স্থায়ী চরে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এসব দূর্গম চরে বসেছে প্রাণের মেলা। শুষ্ক মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে ঘাস জন্মে, যে কারণে অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে গবাদি খামার গড়ে তুলেছে । প্রচুর ঘাস থাকায় গবাদি পশু পালনে তেমন খরচ না হওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেলটার চরের কৃষক আবু সাইদ জানান, সে আবাদের পাশাপাশি গবাদি পশুর একটি খামার করেছেন। তার খামারে তিনটি গাভী ও দুটি ষাড় আছে। তিনটির মধ্যে দুইটি গাভী প্রতিদিন ১২ লিটার করে দূধ দিচ্ছে। যার বাজার মূল্য ৭২০ টাকা। এখন চরে ঘাস থাকায় তার তেমন খরচ নেই, যা হচ্ছে তার প্রায় পুরোটাই থেকে যাচ্ছে। আর আগামী কোরবানীতে ষাড় দুটি বিক্রি করলে দেড় দুই লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। সে জানায় তার মত অনেকেই বাড়তি আয়ের জন্য কৃষির পাশাপাশি গবাদি পশুর খামার করে লাভবান হচ্ছে। স্বল্প খরচে ফসল উৎপাদন করতে পেরে চরবাসীরা খুশি।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুজাফর মো. আহসান শহীদ সরকার জনান, যমুনার পলী মাটিতে প্রচুর পরিমাণ ফসল জন্মে। এতে খরচও কম হয়। এছাড়া পলি মাটিতে কাচা ঘাস হওয়ায় পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাচা ঘাস খাওয়ানো হলে গরু দুধ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়াও গরু মোটাতাজা করণে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। যে কারণে চর এলাকার কৃষক পরিবার গুলোতে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই