বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চৌহালীতে দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোড়ন সৃষ্টি

চৌহালীতে দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোড়ন সৃষ্টি

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ৩৭ নং ঘুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে দৃষ্টিনন্দন ফিরে পেয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুর শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়ার হার হ্রাস, শিশুর মানসিক বিকাশ, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা এবং পরিপূর্ণ উন্নতির ধারবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে সারাদেশে ৫০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩৭ নং ঘুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

ঘুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাণ ফিরেছে। দৃষ্টিনন্দন স্কুল ভবনের মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ,  অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা, দেয়াল সাজসজ্জাকরণ। প্রতিটি ক্লাস রুমে ৪০ জন করে শিক্ষার্থীর বসার আসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, উন্নত পরিবেশে শিক্ষাদানের বিষয় বিবেচনায় রেখে বিদ্যালয়ের ভবন আধুনিক ডিজাইনে দৃষ্টিনন্দন করে নির্মাণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবন নির্মাণের ফলে শিশুরা বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার মান শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বোঝা যায়নি। এ ভবন হওয়ার পরে চৌহালীতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক সরকার বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আরও দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে চৌহালীতে আরও ১৪টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ভবন করা হবে। পর্যায়ক্রমে চৌহালীর সব প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ভবনে অস্বস্তিকর পরিবেশে লেখাপড়া করছে শিশুরা। প্রাথমিক  একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য। এখনো একটি কক্ষের মধ্যে চলছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ শিশু শিক্ষার্থীর জন্য শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিজ সন্তানকে ভর্তি করতে অধিকাংশ অভিভাবকের আগ্রহ নেই। এসব বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান খারাপ হওয়ায় তাদের আগ্রহ কম। কেবল নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা এসব বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রাহী হচ্ছে না। এসব কারণেই চৌহালীর সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আধুনিক মানের করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

এ বিষয়ে ৩৭ নং ঘুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম মিলন  বলেন,  ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করেন। এলজিইডি এ দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করলেও যমুনা নদীতে ভেঙ্গে যায়। পরে নিজস্ব উদ্যোগে সুচারুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে  দৃষ্টিনন্দন টিনের ঘড় তৈরি করেছি। বিদ্যালয়টি নির্মাণ কাজও আরও সুন্দর করতে অর্থের প্রয়োজন। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর