গ্রামে গ্রামে চলছে কৃষকের শ্রমে-ঘামে ফলানো সোনার ধান গোলার তোলায় উৎসব। রাতদিন চলছে ধান কাটা-মাড়াই, শুকানো ও গোলায় তোলার কর্র্মযজ্ঞ। দম ফেলার সময় নেই কিষাণ-কিষাণী ও কৃষিশ্রমিকদের। প্রচন্ড তাপদাহে যে কোন সময় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে এমন আশংকায় চিন্তিত কৃষক।
তাঁড়াশে ধান তোলার উৎসব চলছে এ অঞ্চরের গ্রামে গ্রামে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারে ধানের দামও বেশি, কৃষক ও খুশি। হাইব্রিডসহ বিভিন্ন ধানের আবাদ হয়েছে চলনবিল অঞ্চলে। ফলনও আশানুরুপ হয়েছে।
তাঁড়াশ পৌরসভার আহসান বারী গ্রামের সোহাগ বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানকাটা ও মাড়াইয়ের তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে যে কোনো ঝর-শিলাবৃষ্টি আশংকায় আছেন তারা। আগাম বন্যাও হানা দিতে পারে। গত বছর আগাম বন্যার ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাঁড়াশ নওগা ইউনিয়নের ভাতরা গ্রামের সুজন বলেন, সবাই এখন বোরোধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত। নাওয়া-খাওয়া ভুলে ধান তুলছে ঘরে। অত্র এলাকার একাধিক বিলসহ অন্যান্য বিলের ধানকাটা অর্ধেক হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ধানকাটা শেষ হতে পারে। দিনরাত চলছে ধানকাটা ও মাড়াইয়ের কাজ।
তাঁড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর নাহার লুনা জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের ফলনও বালো হয়েছে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ