সিরাজগঞ্জ নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ শান্তিতে আছে, স্বস্তিতে আছে মন্তব্য করে আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- আগামী নির্বাচনেও এ দেশের মানুষ উন্নয়ন ও শান্তির জন্য নৌকায় ভোট দিবে। সারা দেশে নৌকার গণজোয়ার দেখে ওরা (বিএনপি) স্তম্ভিত হয়েছে। জনগণের কাছে ভোট চাইতে সাহস পাচ্ছে না। অথচ মিথ্যা অভিযোগ করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার পায়তারা করছে। তিনি রবিবারদুপুরে কাজীপুরের যমুনা নদী বেষ্টিত চরগিরিশ ও মনসুরনগর ইউনিয়নে পৃথক দুটি বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন।
তিনি দুর্গম চরের পথে পথে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে ভোট প্রার্থনা করেন। মন্ত্রী হিসেবে পাওয়া সরকারি সুযোগ সুবিধা পরিহার করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পতাকাবিহীন নিজের গাড়ি নিয়ে এ দুইটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন। মনসুরনগর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার এবং চরগিরিশ ইউনিয়ন আয়োজিত হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় সবাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গাজী আব্দুস সামাদ। এতে বক্তব্য দেন উপজেরা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, উপজেলা আওয়ামীলগি সভাপতি শওকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পৃথক দুটি জনসভায় তিনি বলেন-বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছরের শাসনামলে এই দুর্গমচরের অধিবাসীদের জীবনমানের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
নির্মিত হয়েছে পাকা সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাস্থ্য সেবার ইট পাথরের অনেক সরকারি স্থাপনাও নির্মাণ করা হয়েছে। এই চরে এখন ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করে, সোলার ও বিদ্যুতের বাতি জ্বলে, মুল ভু-খন্ডের সাথে পাল্লা দিয়ে চরের মানুষও এগিয়ে চলেছে। বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, প্রতিটি হত্যাকান্ড বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে। ২১ আগস্টের পর তিন বছর ক্ষমতায় ছিল তারা। কিন্তু বিচার করেনি।
এখন পাপের ফল ভোগ করছে। বিএনপিকে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রু উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাস লালনকারী রাজনৈতিক দল, এটা প্রমাণ হয়েছে। আগামী নির্বাচনে
জনগনের ভোটে এই সন্ত্রাস লালনকারী দলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেছিল তারা এ সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে যাবে না। আমরা বলেছিলাম শেখ হাসিনা সরকারের অধিনেই নির্বাচন হবে। তারা হেরে গিয়ে নাকে খত দিয়ে নির্বাচনী মাঠে খেলতে এসেছেন। সেটা ভালো কথা, কিন্তু ঠিকঠাকভাবে খেলবেন। যদি ফাউল করেন, তাহলে জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিবে। সেমিফাইনাল খেলায় আপনারা হেরে গেছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় আপনাদেরকে জনগন ভোট দিয়ে হারিয়ে দিবে। জনগন ভোট দিয়ে আবারও নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের বিশ্বাস আছে। কিন্তু যারা অনুমোদিতহীন দল জামায়াতে ইসলাম তারা বিএনপির সাথে মিলে নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। অবশ্যই জনগন তাদের বিচার করবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
