সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে চাঞ্চল্যকর দুই সহোদর হত্যা মামলার এজহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি শহিদুল ইসলাম সাচ্চাকে (৪৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, জমির আইলে ড্রেন নির্মানকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে খাষপুখুরিয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য শিরিন সুলতানার বাড়িতে শুক্রবার বিকেলের দিকে দাওয়াত করে ডেকে নিয়ে স্থানীয় পশু চিকিৎসক কাউছার হোসেন (২৩) ও তার বড় ভাই মিল্টন হোসেনকে (৩২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এঘটনায় নিহতের মা আয়তুন নেছা বাদি হয়ে শনিবার সকালে চৌহালী থানায় ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানা, স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুল, দেবর নাসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম সাচ্চা ও ননদ জামাই ই¯্রাফিল হোসেনকে নামিও আসামি করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে শনিবার রাত ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি শহিদুল ইসলাম সাচ্চা পালিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে খুনের ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড নারী ইউপি সদস্য সারমিন সুলতানাকেও গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
চৌহালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই সহোদরকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আাসামি শহিদুল ইসলাম সাচ্চাকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে জেলহাততে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসি দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি করেছেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ