শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চৌহালীর আব্দুল মতিন যে ভাবে ভাষা মতিন

চৌহালীর আব্দুল মতিন যে ভাবে ভাষা মতিন

বাংলা ভাষার ইতিহাসের সঙ্গে যে নামগুলো জড়িয়ে আছে তাদের অন্যতম ভাষা মতিন । ২০১৪ সালে অবসান হয় ভাষা আন্দোলনের সেই অন্যতম সংগঠক আব্দুল মতিনের ৮৮ বছরের বর্নিল জীবনের। মস্তিস্কে ট্রোক্স হওয়ায় দেড় মাসের বেশী সময় ধরে তিনি বঙ্গ বন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।

২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর থেকে তাকে নাঈম লাইফ সার্পোট রাখার পর ৮ অক্টোবর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ইল্লাহনিল্লাহ—রাজিউন। ১৯৫২ সালে সর্বদলীয় রাষ্টভাষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক হিসেবে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আব্দুল মতিন। ভাষা আন্দোলন এর পরে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন গঠনে ভুমিকা রাখেন এবং পরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর পর কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে কাজ করেন তিনি।
আব্দুল মতিন ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ধুবালিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আব্দুল জলিল এবং মাতার নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর তার ডাকনাম ছিল গেদু। ১৯৩০ সালে গ্রামের বাড়ী যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে চলে গেলে মতিনের বাবা জীবিকার সন্ধানে ভারতের দার্জিলিং এ চলে যান।১৯৩২ সালে দার্জিলিং এর বাংলা মিডিয়াম স্কুল মহারানি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ৮ বছর বয়সে তার মা আমেনা খাতুন অ্যাকঃ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। দার্জিলিং এ প্রাইমারি ও মাধ্যমিক শেষ করে ১৯৪৫ সালে রাজশাহী গভঃমেন্ট কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। ১৯৪৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন কোর্ষ শেষ করেন,পরে মাষ্টার্স করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে। ১৯৫২ সালে টগবগ তরুন ছাত্র আব্দুল মতিন এর নেতৃত্বে বাংলা ভাষাকে রাষ্টভাষা করার দাবিতোলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্টভাষা সংগ্রাম কমিটি আহবায়ক আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে ২১ ফেব্রয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ছাত্র সভা থেকে ১৪৪ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়,তারই নেতৃত্বে সারা দেশে রাষ্টভাষা বাংলা প্রতিষ্টার দাবিতে তৃমুল আন্দোলন সংগ্রামের নানা কর্মসূচী গ্রহন করেন। ভাষা আন্দোলন এর পরে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন,কমিউনিষ্ট আন্দলনসহ দেশের নানা ক্রান্তিকালে দেশ ও জাতির পক্ষে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কস পাটি গঠনে সক্রিয় অবদান রাখেন। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য ছিলেন।
সারা জীবন দেশ ও জাতির কল্যানে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাওয়া ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী গুলবদন নেছা মনিকা ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন। ২০১৪ সালে ৩ অক্টোবর থেকে লাইফ সাপোটে থাকার পর ৮ অক্টোবর সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কৃর্তিমান এ মানুষটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অসিয়ত অনুযায়ী দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে শিক্ষার্থীদের উচ্চতর গবেষনার জন্য তার মরদেহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর