ভুয়া নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মো: বোরহান উদ্দিন লিটনের বিরুদ্ধে ভুয়া বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রিসহ বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রির অভিযোগ পওয়া গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এমনকি মো: বোরহান উদ্দিন যে নিয়োগ প্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারের সহকারী হয়ে এসব অপকর্ম করছেন সেই কাজী রয়েছেন বহাল তবিয়তে। ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য দেশের সকল ইউনিয়ন এবং ওর্য়াডে একজন করে নিকাহ্ রেজিস্টার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আইনে ছেলের ক্ষেত্রে ২১ আর মেয়ের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কমে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে বাঁধা রয়েছে। সরকারের এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতিনিয়ত বাল্য বিয়ে ও ভুয়া বিয়ে রেজিষ্ট্রি করছেন মো: বোরহান উদ্দিন নামের এই ভুয়া কাজী। অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের মুত্য গোলাম মওলা ফারুকীর ছেলে ভূয়া কাজী মো: বোরহান উদ্দিন। তিনি তার নিজ বাড়িতে কাজী অফিস খুলে বসেছেন। প্রত্যেকটি বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পাঁচ থেকে দশহাজার টাকা পর্যন্ত নেন তিনি। এমন একটি অভিযোগ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর দাখিল করেন ভুক্ত ভুগী সদর উপজেলার চর ছোনগাছা ইউনিয়নের মো: মেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো: আব্দুস সালাম। অভিযোগ বলা হয়েছে গত ১৪.০২.২০১৮ ইং তারিখে আমার বোন মোছা: সেলিনা খাতুনের বিবাহ পড়ানো হয়। উক্ত বিবাহের কাবিন রেজিষ্ট্রার করেন মো: বোরহান উদ্দিন (লিটন)। কয়েক দিন পর উক্ত কাজীর নিকট কাবিন রেজিষ্ট্রার নকল চাইতে গেলে দেই দিচ্ছ বলে সময় ক্ষেপন করেন। পরবর্তীতে বিশ্বস্ত সূত্রে জানিতে পারিলাম যে, মো: বোরহান উদ্দিন (লিটন) লাইসেন্সধারী কোন কাজী নয়। ভূয়া রেজিষ্ট্র বই সংগ্রহ করে কাবিন রেজিষ্ট্র করে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্যন করে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ