পুতুলের সাহায্যে বিন লাদেনকে ধরা হয়েছিল!
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০১৯

হলিউডের সিনেমায় আমরা প্রায়শই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর দুর্ধর্ষ সব মিশন দেখে থাকি। কিন্তু বাস্তবের সিআইএ সিনেমার থেকে খানিকটা ভিন্ন। সিআইএ’তে শুধু ফিল্ড এজেন্টরা অন্য দেশ থেকে স্পর্শকাতর তথ্য চুরি বা টেররিস্টদের ধরার জন্য কোভার্ট অপারেশন পরিচালনা করেনা। তারা ব্যবসা কিংবা রাজনৈতিক পরিচালনা থেকে শুরু করে গবেষণা সবই করে থাকে। আবার সি আই এ এর কিছু কিছু গবেষনা অনেক অদ্ভুত ও বটে। এমনি এক সাইকোলজিক্যাল গবেষণা ছিল পুতুলের সাহায্যে ওসামা বিন লাদেনকে ধরার চেষ্টা। ব্যপারটা অদ্ভুত শোনালেও সত্যিই। তাহলে জেনে আসা যাক সিআইএ এর পুতুলের সাহায্যে বিন লাদেনকে ধরার মিশন সম্পর্কে-
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকেই ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে উঠে আসে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয় বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই বিন লাদেন এবং আলকায়দা হয়ে উঠে এক আতঙ্কের নাম। শুরু হয় ইতিহাসের সবথেকে বড় ম্যানহান্ট। ওসামা বিন লাদেনকে ধরার জন্য একত্রে কাজ শুরু করে পৃথিবীর সব বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা। হামলার কিছুদিনের মধ্যেই বিন লাদেন এবং তালেবানকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা করে। কিন্তু বিন লাদেনকে ধরার মিশন সহজ ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে খুব দ্রুততার সাথে নিয়ন্ত্রণে আনলেও ওসামা বিন লাদেনের সাথে বেশিরভাগ তালেবান যোদ্ধাই আফগানিস্তান ত্যাগ করে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। পশ্চিমাদের প্রতি ঘৃণা এবং ধর্মীয় কারণে পাকিস্তানের স্থানীয়রা বিন লাদেন এবং তালেবানকে লুকাতে সাহায্য করে। যুদ্ধের ৪ বছর পার হয়ে গেলেও বিন লাদেনকে ধরার কোনো অগ্রগতি ছিলনা। সিআইএ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা মরিয়া হয়ে বিন লাদেনকে খুঁজছিল। তখন বিন লাদেনকে ধরার জন্য অনেক পরিকল্পনাই নেয়া হয়। এসব অদ্ভুত পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে একটি ছিল বিন লাদেনের পুতুলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া।
দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে মার্কিন সৈন্যদের প্রতি আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মানুষের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সি আই এ একটি প্রোগ্রাম শুরু করে। যেখানে মার্কিন সৈন্যরা আফগান এবং পাকিস্তানি শিশুদেরকে ব্যাগ, পেন্সিল, বক্স এবং খেলনা উপহার দিতে থাকে। কিন্তু এতেও আফগান এবং পাকিস্তানিদের মতামত বদলায় না। তারা তখনো আলকায়দাকে স্থানীয় শক্তি হিসেবেই মনে করত। এই মতামত বদলাতে সিআইএ একটি টপ সিক্রেট মিশন হাতে নেয়। যা অপারেশন ডেভিল আই নামে পরিচিত। এই পরিকল্পনায় তারা ওসামা বিন লাদেনের প্লাস্টিকের পুতুল তৈরি করে আফগান এবং পাকিস্তানি শিশুদের মধ্যে বন্টন করবে। তবে এই পুতুল কোন সাধারণ পুতুল নয়। এই পুতুলের মুখমণ্ডল টেম্পারেচার সেন্সিটিভ পদার্থের তৈরি হবে এবং বাচ্চারা তা নিয়ে কিছুদিন খেলার পরেই মুখমণ্ডলের উপরের অংশ গলে ভিতরের বিভৎস শয়তানের চেহারার অনুরুপে তৈরি বিন লাদেনের মুখ বেরিয়ে আসবে। সিআইএ মনে করেছিল এই পুতুলের সাহায্যে তারা খুব সহজেই কুসংস্কারে বিশ্বাসী স্থানীয়দের মধ্যে ভয় এর সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। তাছাড়াও এই সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট এর মাধ্যমে তারা স্থানীয়দের তালেবানে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত এবং ওসামা বিন লাদেনকে ধরার জন্য লিড পাবে বলে আশা করেছিলেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৫ সালের শেষ ভাগে সিআইএ কাজ শুরু করে। তারা এই পুতুল তৈরির জন্য বিশ্বখ্যাত খেলনা প্রস্তুতকারক ডোনাল্ড লেভেনিকে নিযুক্ত করেন। কিন্তু নৈতিক এবং গুপ্ত রাখার জন্য সি আই এ এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই তারা ডোনাল্ডকে চায়নায় প্রেরণ করেন। ডোনাল্ড তার পুরানো ফ্যাক্টরি কর্মীদের সাহায্যে চীনে একটি ওয়ার্কশপ তৈরি করে। সেখানে ডোনাল্ড এবং কিছু চাইনিজ ডিজাইনার মিলে কয়েক মাসের মধ্যেই তিনটি স্যাম্পল পুতুল তৈরি করে। স্যাম্পল তৈরি করে ডোনাল্ড একটি পুতুল সি আই এ এর প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করে। পুতুল পছন্দ হলেও সিআইএ তে ক্ষমতা পরিবর্তনের কারণে নতুন পরিচালক এই অপারেশনকে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও শিশুদের মাধ্যমে ভয় ছড়ানো হলে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলে মনে করেন। এসকল কারণে সিআইএ এই মিশন বন্ধ করতে বাধ্য হয়। তবে এখনো এমন তিনটি খেলনা বিন লাদেন রয়েছে। যার একটি সিআইএ এর হেডকোয়ার্টারে সাজানো এবং বাকি দু’টি ডোনাল্ড লেভেনির পার্সোনাল কালেকশনে রয়েছে।

- শাহজাদপুরের স্নাতকোত্তরের ছাত্রের সফল গরু খামারি হওয়ার গল্প
- আজ সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস
- শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল সবাইকে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন
- রাসূল (সা.) শেষ রমজানে কোরআন খতম করেছিলেন যতবার
- বারোমাসি লাউ বিক্রি করে লাখপতি রাশেদ
- বিদেশি দুম্বা-ছাগল পালনে আনোয়ারের সাফল্য
- তাড়াশে গ্রামীণ মেলার শুরু
- সিরাজগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের নামে বৃক্ষ রোপণ
- এক বছরে বাংলাদেশী পোশাক আমদানি বেড়েছে ৫২%
- স্বল্পোন্নত থেকে টেকসইয়ে উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ইইউ
- নির্বাচনী ট্রেনে ইসির যাত্রা
- সুবর্ণভূমির হাতছানি
- গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল না দিলে সরকারি-বেসরকারি সংযোগ বিচ্ছিন্ন
- জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছেন পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
- সরকারি হাসপাতালে চালু হলো বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা
- ভিয়েতনামের সঙ্গে আরও জোরালো সম্পর্ক চান প্রধানমন্ত্রী
- শেখ হাসিনা সক্রিয় হচ্ছেন নির্বাচনী কূটনীতিতে
- মুখ দেখে নয় মনোনয়ন মিলবে জনপ্রিয়তায়
- চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা
- প্রথম আলোর সম্পাদকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে ছবি তোলা প্রথম আলোর গর্হিত অপরাধ : বিজ্ঞ মহল
- ফের আইওসিইন্ডিও’র সভাপতি বাংলাদেশ
- "টিসিবির পণ্য পাচার" ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনঃসিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন
- প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সংস্কারের প্রশংসা ব্লুমবার্গের
- ডাঃ ইউনুস আলী খানের জন্মবার্ষিকী ও স্মরণ সভায় মেরিনা জাহান কবিতা
- কামারখন্দে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১
- যশোরে বড় হচ্ছে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প
- শেষ হলো পদ্মা সেতুর রেললাইন নির্মাণ কাজ
- এমপিদের জন্য নির্বাচনী পুরস্কার, এমপিও হচ্ছে ১০০ প্রতিষ্ঠান!
- বন্দর, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণে জাইকার ঋণ
- স্বাদে অতুলনীয় সিরাজগঞ্জের কুমড়া বড়ি , হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন
- কাশ্মীরী কুল চাষে তিন শিক্ষার্থীর চমক!
- চোখ জুড়িয়ে যায় সিরাজগঞ্জের শিমুল ফুলে
- কাজিপুরে তিলের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
- উল্লাপাড়ায় গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভবন উদ্বোধন করেন তানভীর ইমাম
- নাসিম স্মৃতি ভলিবলে প্রথম সেমি ফাইনাল বিজয়ী কাজিপুর পৌরসভা দল
- স্ট্রবেরি চাষে দুই ভাইয়ের সাফল্য
- সিরাজগঞ্জে হাড়ের গুঁড়া ব্যবহৃত হচ্ছে পোলট্রি শিল্পে
- তাড়াশে বিনাহালের রসুনের ভালো ফলন ও দামে খুশি কৃষক
- সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে কৃষকের মুখে হাসি
- ড্রাগন চাষে বছরে আড়াই লাখ টাকা উল্লাপাড়ার কামরুজ্জামানের
- ১৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রির আশা ইমরানের
- সিরাজগঞ্জে হাইব্রিড বেগুনের বাম্পার ফলন, কৃষক খুশি
- তাড়াশে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীচাষে কৃষকদের সাফল্য
- গ্রামের পুকুরে বিশাল রুই মাছ দেখার জন্য এলাকাবাসীর ভিড়
- ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী
- সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ টি গরুর মৃত্যু
- শিশুদের কোলাহলে কাটলো সলঙ্গার বই মেলার শেষ প্রহর
- সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০ টন
- সাড়ে চার মাসে কোরআন মুখস্থ করল ৮ বছরের শিশু
