শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

কুমিরের মুখে মিলল নারীর দেহাবশেষ

কুমিরের মুখে মিলল নারীর দেহাবশেষ

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ১৩ ফুট লম্বা এক কুমিরকে মেরে ফেলা হয়েছে। কুমিরটির মুখের ভেতর এক নারীর দেহাবশেষ পাওয়ার পরই কুমিরটিকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত ঐ নারীর বয়স ৪১ বছর। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, লার্গো খালে কুমিরটির মুখে ঐ নারীর দেহের নিচের অংশ আটকে থাকতে দেখেছেন।

পিনেলাস কাউন্টি শেরিফের অফিস নিশ্চিত করে বলেছে, প্রাণীটিকে হত্যা করা হয়েছে এবং সাব্রিনা পেকহাম নামের একজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে জানা যাবে সাব্রিনার মৃত্যুর পেছনের কারণ কী ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার কুমিরের মুখে মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা তাদের ডাকে। জ্যামারকাস বুলার্ড নামের একজন জানান, তিনি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছিলেন, তখন কুমিরের মুখে প্রথমে পুতুলের মতো কিছু দেখতে পান।

তিনি বলেন, ‘এরপর আমি লক্ষ্য করলাম কুমিরের মুখের ভেতর মানুষের দেহাবশেষ। নিশ্চিত হয়েই আমি সরাসরি ফায়ার বিভাগে দৌড়ে যাই।’

বুলার্ড আরো বলেন, ‘বাস্তব জীবনে আমি প্রথমবার কুমির দেখচ্ছিলাম, বেশ দুর্দান্ত লাগছিল। কিন্তু এর মুখের ভেতর কী? এটা কি পুতুলের? কারণ দেহাবশেষটি একদম ফ্যাকাশে এবং সাদা ছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে এটি আসলে বাস্তব।’

সাব্রিনার মৃত্যুর সময় জঙ্গলের কাছাকাছি একটি গৃহহীন শিবিরে বসবাস করছিলেন। তার মেয়ে ব্রেউনা ডরিস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে তিনি অন্ধকারে ক্যাম্পসাইটের কাছে  হাঁটছিলেন। তখন কুমির তাকে আক্রমণ করেছিল। এভাবে মরে যেতে কেউ চায় না।’

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কুমিরটিকে মানবিকভাবেই হত্যা করা হয়েছে এবং এরপর পুলিশের একটি ডুবুরি দল মিসেস সাব্রিনা পেকহামের দেহাবশেষ উদ্ধার করে। কতৃপক্ষ এখনো সাব্রিনার মৃত্যুর কারণ বের করতে পারেনি। আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা আগেও এই এলাকায় ছোট ছোট কুমির দেখেছেন। তবে এই কুমির বেশ বড় ছিল।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ