• মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

রকেট হামলায়ও থাকবে অক্ষত, কী আছে কিমের রহস্যময় ট্রেনে?

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। উত্তরাধিকার সূত্রে দাদা ও বাবার মতোই বিদেশ সফরে ট্রেন ব্যবহার করেন তিনি। তবে, তার ব্যবহৃত বুলেট প্রুফ ট্রেন 'তাইয়েংহো' আর ১০টি সাধারণ ট্রেনের মতো নয়। কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত এই ট্রেনটিতে রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।

২০১১ সালে বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করেন কিম জং উন। এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে নিজের পরিচিতি বাড়িয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়ত পশ্চিমাদের হুমকি দিয়ে সবসময় আলোচনায় থাকাই যেন পছন্দ তার। তবে, দায়িত্ব গ্রহণের পর খুব কমই বিদেশ সফর করেছেন কিম। গত চার বছরে দুবার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন তিনি। আর তার রাশিয়া ভ্রমণ মানেই, ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নিজের বিলাসবহুল ট্রেনে চেপে বসা। গাঢ় সবুজের মধ্যে হলুদ ডোরাকাটা ট্রেনটি নিয়ে কমবেশি সবারই আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু কী আছে সেই ট্রেনে?

কোরীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, কিম জং উনের ট্রেনের নাম তাইয়েংহো, যার বাংলা অর্থ সূর্য। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৬০ কিলোমিটার। এতে মোট ৯০টি বগি রয়েছে। আর প্রতিটি বগিই যেন একেকটি ভারী সাঁজোয়া যান। এসব বগিতে অন্যান্য যানও বহন করা হয়। এর মধ্যে কিমের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অস্ত্রসজ্জিত দুটি মার্সিডিজ গাড়িও থাকে। অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের বিশেষত্ব হলো- এটি খুবই শক্তিশালী ধাতব পাত দিয়ে মোড়ানো; যা রকেট, গুলি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। কেবল নিরাপত্তাই নয়, ট্রেনটিতে পাওয়া যায় দারুণ সব খাবার। তাজা লবস্টার থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন পদের খাবার মেলে এতে।

 
ট্রেনটিতে একাধিক কনফারেন্স রুম, ছোট থিয়েটার, একাধিক বেডরুমও রয়েছে। এছাড়া ট্রেনটিতে স্যাটেলাইট ফোনের সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বড় আকারের টেলিভিশন সেটও সংযুক্ত রয়েছে বিভিন্ন কামরায়। একাধিক কামরায় রয়েছে লাল চামড়ায় মোড়ানো চেয়ার, যেখানে যাত্রীদের মতো বসেই ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে। কিমের নিরাপত্তা দিতে ট্রেনটির ভেতরে একটি বাহিনীও রয়েছে। এই বাহিনী অন্যান্য প্রেসিডেন্টকে নিরাপত্তা দেয়া বাহিনীর তুলনায় অনেকাংশেই বড়। এছাড়া ট্রেনটি যেসব স্টেশনের মধ্য দিয়ে যায়, সেখানে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয় যাতে ওই রেল রুটগুলো দিয়ে অন্য কোনো ট্রেন চলাচল করতে না পারে। সোভিয়েত নির্মিত দুটি সামরিক হেলিকপ্টার ট্রেনের যাত্রাপথে টহল দিয়ে বেড়ায়। কিম জং উনের ট্রেনপ্রীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। তার দাদা কিম ইল সুং, বাবা কিম জং ইল দুজনেই বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্রেন ব্যবহার করতেন। কিমের বাবা বিমানে চড়তে ভয় পেতেন। তাই কোথাও সফরে গেলে ট্রেনই ছিল তার ভরসা। যদিও কিম জং উন কয়েকবার বিমানে চড়েছেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ