মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশু হত্যা করতে গুগল করেন খুনি, ‘হাউ টু কিল অ্যা নিউবর্ন বেবি’

শিশু হত্যা করতে গুগল করেন খুনি, ‘হাউ টু কিল অ্যা নিউবর্ন বেবি’

তিন সপ্তাহ বয়সী কন্যা শিশুকে নিজের ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জামার বেইলি নামে এক যুবককে ২৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের এক আদালত।

সোমবার বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্ট তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। ওষুধ খাওয়ানোর আগে কীভাবে শিশুটিকে হত্যা করবেন সেই জন্য গুগলে ‘হাউ টু পয়জন অ্যা বেবি’ এবং ‘হাউ টু কিল অ্যা নিউবর্ন বেবি’ লিখে সার্চ দেন তিনি। 

সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে জানা গেছে, ঘটনাটি দেশটির পশ্চিম মিডল্যান্ডস অঞ্চলের বার্মিংহামের। ২০২০ সালের জুন মাসে ঘটা ওই ঘটনার পর নিথর ওই শিশুটিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুটির ক্ষতি করতে চাওয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে বেইলিকে আটক করা হয়।

হাসপাতালে নেয়ার পর শিশুটির ইউরিন পরীক্ষায় সোডিয়াম ভ্যালপোরেট শনাক্ত হয় যা এপিলেপ্সি (মৃগীরোগ) ও বাইপোলার ডিসঅর্ডারের জন্য ব্যবহার করা হয়। সোডিয়াম ভ্যালপোরেট একটি ছোট্ট শিশুর প্রাণ নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। 

এদিকে ঠিক কী কারণে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে বেইলি দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি রোগকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। আর এসব বিষয়ের কোনো প্রভাব এই ঘটনায় আছে কিনা তা পরিষ্কার না।

গোয়েন্দারা তদন্তের সময় বেইলির বাসা থেকে খিঁচুনির ওষুধ পেয়েছেন এবং একটি ব্যবস্থাপত্র পেয়েছেন যেখানে এপিলিম ক্রোনো নামের ওষুধ গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। এই ওষুধ তৈরিতে সোডিয়াম ভ্যালপোরেট ব্যবহার করা হয়। তদন্তকারীরা শিশুটির দুধের বোতলে এই ওষুধের প্রমাণ পেয়েছেন এবং বেইলির মুঠোফোনে শিশু হত্যার বিষয়ে গুগল সার্চের বিষয়টি নজরে আসে। 

শিশুটি ইনটেনসিভ কেয়ার থেকে বেঁচে ফিরেছে। পুলিশ বলছে সে দ্রুত উন্নতি করেছে এবং সুস্থ আছে। যদিও এটা নিশ্চিত না শিশুটির বয়স বাড়লে দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমস্যা দেখা দিবে কিনা। হত্যাচেষ্টার বিষয়টি বেইলি স্বীকার করেছেন। 

পশ্চিম মিডল্যান্ডস পুলিশের জননিরাপত্তা ইউনিটের গোয়েন্দা সার্জেন্ট ক্রিস্টি উইলসন বলেছেন, ছোট্ট শিশুটি ভার্গে্যর জোরে বেঁচে ফিরেছে এবং আমরা খুশি সে খুব দ্রুত সেরে ওঠেছে। বেইলির কর্মকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত এবং ওই ওষুধ শিশুটির মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট ছিল। আমাদের তদন্ত করা খুব কঠিন ছিল। মেডিকেল প্রমাণ ও বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার সহায়তার জন্য তদন্ত সম্ভব হয়েছে। বিচার শেষ হওয়ায় আমরা খুশি। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ