কোথাও দুইপক্ষের মধ্যে দূরত্ব দেড়শ' মিটার। কোথাও আরো কম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে লাদাখের প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে এ ভাবেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারতীয় এবং চীনা ফৌজ।
১১ ফেব্রুয়ারি তোলা একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, রেজং লা এলাকায় দুই সেনার মুখোমুখি অবস্থান। প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় দু’পক্ষের তাঁবু এবং বাঙ্কার দেখা যাচ্ছে ওই উপগ্রহচিত্রে।
সেনা ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ওই এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
তার আগে পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাং লা ছিল ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণে। উপগ্রহ চিত্রে ভারতীয় ফৌজের জলপাই সবুজ তাবুগুলিও দেখা গিয়েছে স্পষ্ট ভাবে।
এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ওই অঞ্চলে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কোনো কোনো গিরিশিয়ায় মাত্র ৫০ মিটার দূরে ছিল দুই বাহিনীর অবস্থান। ছিল হাল্কা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি এবং কামানও।
গত বছর মে মাসের গোড়ায় গালওয়ান উপত্যকা, ডেপসাং, গোগরা, হট স্প্রিংয়ের পাশাপাশি প্যাংগং লেকের উত্তরে বেশ কিছু ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছিল চীনা সেনা। সেখানে এলএসির সীমানা নির্দেশক ফিঙ্গার এরিয়া-৮ থেকে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে ফিঙ্গার এরিয়া-৪ এ চলে আসে তারা।
১৫ জুন গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে আলোচনার প্রেক্ষিতে ‘বাফার এরিয়া’ তৈরি করতে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও তারা এলএসি থেকে পুরোপুরি পিছু হটেনি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আলোকিত সিরাজগঞ্জ