নিয়মিত ব্লাড প্রেশার, ব্লাড সুগার, ওজন মাপালেও বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখান না। এমনকি যারা চশমা ব্যবহার করেন, তারাও বছরে একবার ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবেন না। অথচ চোখ দেখেই বোঝা যেতে পারে বেশকিছু স্বাস্থ্য সমস্যা? কিন্তু কীভাবে?
ভালোভাবে চোখ পরীক্ষা করালে রেটিনায় থাকা রক্ত নালীকা ও স্নায়ুর অবস্থা ধরতে পারা যায়। এতে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা যায় একদম প্রাথমিক পর্যায়েই। দেখে নিন, চোখ পরীক্ষা করালে কী কী সমস্যা ধরা পড়তে পারে-
১) ক্যান্সার
শুধু ব্রেইন টিউমার নয়, বরং ব্রেস্ট ও লাং ক্যান্সার ধরা পড়তে পারে চোখ পরীক্ষা করে। কারণ এগুলো চোখে ছড়াতে পারে। রেটিনায় বিশেষ কিছু রক্তপাতের কারণ হতে পারে লিউকেমিয়া। দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তনের পেছনে থাকতে পারে ব্রেইন টিউমার। অন্যদিকে একধরনের মেলানোমা বা ত্বকের ক্যান্সার দেখা দিতে পারে চোখের পেছনের দিকে।
২) ডায়াবেটিস
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রাথমিক একটি লক্ষণ হতে পারে রেটিনায় অল্প পরিমাণে রক্তপাত। এটা ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথির একটি লক্ষণ। এর চিকিৎসা না করালে অন্ধত্বও দেখা দিতে পারে। তবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিলে এর ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে।
৩) উচ্চ রক্তচাপ
রক্তনালীর ক্ষতি হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। রেটিনায় ছোট ছোট রক্তনালীর সংকুচিত হয়ে যাওয়াটা হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে।
৪) মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
অপটিক নার্ভের ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ হতে পারে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের প্রাথমিক একটি লক্ষণ। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস হলো স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ। চোখের ডাক্তারের কাছে গেলেই এটা ধরা পড়ে। অনেকের দৃষ্টি এ সমস্যায় ঝাপসা হয়ে যায়, কিন্তু কারো কারো কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না।
৫) রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগীদের প্রায় সব সময়েই চোখে সমস্যা থাকে। একটি সমস্যা হলো ড্রাই আই বা চোখ শুকনো হয়ে যাওয়া। আরেকটি সমসয়া হলো আইরিটিস, আইরিসের প্রদাহ। এই প্রদাহ বছরে একবার বা ১৮ মাসে ৩ বার দেখা দিলে ডাক্তাররা তার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আছে বলে সন্দেহ করেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ