শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বয়স ৩০ এর আগেই নারীদের এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করানো জরুরি!

বয়স ৩০ এর আগেই নারীদের এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করানো জরুরি!

 

নারী-পুরুষ উভয়েরই স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে জীবনের প্রতিটি স্তরেই নারীদেরকে তাদের স্বাস্থ্য প্রতি একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। ঘরে হোক কি বাইরে, সব জায়গাতেই নারীদের ওপর ক্রমাগত বেড়ে চলা কাজের চাপ তাদের স্বাস্থ্য ধ্বংস করছে। সুতরাং নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো জরুরি।

বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের আগেই নারীদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা কারানো উচিত। কারণ এ সময়টাতেই নারীরা সবচেয়ে মারাত্মক সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। আগে থেকেই যদি সতর্ক হওয়া যায় তাহলে অর্থ, সময় ও শক্তির অপচয় হবে না। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করানো অত্যন্ত জরুরি-   

প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট
সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বা জরায়ু মুখের ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য এই টেস্টটি করানো হয়। জননাঙ্গের একটু ওপরে গর্ভের নিম্নাংশকে বলে সার্ভিক্স। মূলত ২১ বছর হওয়ার পর এই পরীক্ষাটি করানো দরকার। আর প্রতি তিন বছর পরপর এই পরীক্ষাটি করাতে হবে। নারীদের অকাল মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ এই ক্যান্সার।

ম্যামোগ্রাম
এই পরীক্ষাটি করানো হয় স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য। স্তনের শুধু এক্সরে করার মাধ্যমেই এই পরীক্ষাটি করানো হয়। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি দুই থেকে তিনি বছর পরপর এই পরীক্ষাটি করানো উচিত।

রক্তচাপ
পুরুষদের চেয়ে নারীরাই বেশি হার্টের রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন। ২০ বছর হওয়ার পরপরই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য এই পরীক্ষাটি করানো জরুরি।

কোলেস্টেরল স্ক্রিনিং
নারী বা পুরুষ যে কারো জন্যই এই পরীক্ষাটি জরুরি। আর যে নারীদের বয়স ২৫ অতিক্রম করেছে তাদের জন্য এই পরীক্ষাটি অতি আবশ্যক। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না থাকলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষয়, কিডনি বিকল, ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগ হতে পারে।

রক্তের গ্লুকোজ
ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। ডায়াবেটিস হলো একটি নীরব ঘাতক। এর ফলে চোখের দৃষ্টি হারানো, কিডনি বিকল হওয়া এবং পায়ে জখম হলে পচে যাওয়ার মতো মারাত্মক সব সমস্যা হতে পারে। বয়স ৩০ হওয়ার আগেই এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাটি করাতে হবে।

থাইরয়েড টেস্ট
এই পরীক্ষা করালে থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন (টিএসএইচ) নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। টিএসএইচ এর মাত্রা কম হলে ওজন বাড়া, ক্লান্তি ও অবসাদ, ত্বকের শুষ্কতা এবং নখের ভঙ্গুরতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর কম হলে অনিদ্রা এবং ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রতি পাঁচ বছর পরপর এই টেস্টটি করানো উচিত।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই