শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্তন ক্যান্সার হলে কী মা হওয়া সম্ভব?

স্তন ক্যান্সার হলে কী মা হওয়া সম্ভব?

বর্তমানে উন্নত থেরাপির ব্যবস্থা থাকায় এই রোগের কবলে মৃত্যু হার অনেকটাই কমেছে। তবে ক্যান্সাজয়ীদের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটি উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ। নারীদের মধ্যে যে সব ধরনের ক্যান্সার দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্তন ক্যান্সার। বর্তমানে উন্নত থেরাপির হাত ধরে এই রোগের কবলে মৃত্যু হার অনেকটাই কমেছে। তবে ক্যান্সারজয়ীদের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটি উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ।

আসলে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে ক্যান্সার রোগীদের আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। চিকিৎসায় আরোগ্যলাভের পরে যদি ক্যান্সার রোগী সন্তানধারণ করতে চান, তাহলে কী সেটা সম্ভব। এই বিষয়ে কলকাতা বিড়লা ফার্টিলিটি এবং আইভিএফ সেন্টারের কনসালট্যান্ট ও সেন্টার হেড ডা. সৌরেন ভট্টাচার্য দিয়েছেন নানা তথ্য।

আসলে একজন ক্যান্সারজয়ী যদি মা হতে চান, তাহলে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটি প্রিজারভেশনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে সঠিক পরামর্শেরও প্রয়োজন রয়েছে। আর এই ফার্টিলিটি প্রিজারভেশন হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যেখানে ডিম্বাণু, শুক্রাণু অথবা রিপ্রোডাকটিভ কলাকোষ সংরক্ষণ করা হয়। যার ফলে কেউ চাইলে ভবিষ্যতেও সন্তানধারণ করতে সক্ষম হবেন।

বিশ্বব্যাপী সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার আগেই ফার্টিলিটি প্রিজারভেশন করতে হবে। এটাই কমবয়সী নারী জন্য নিরাপদ। ফার্টিলিটির উপর যাতে কেমোথেরাপির প্রভাব না-পড়ে, তার জন্য আগে থেকেই সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ের কোষ এবং ভ্রূণ সংরক্ষণ হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড ফার্টিলিটি প্রিজারভেশন।

তবে চিকিৎসা পরিকল্পনা চলাকালীনই রোগীর সঙ্গে একটা বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি। ক্যান্সারের চিকিৎসার ফলে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে, এই বিষয়টা রোগীকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। ফলে যারা ফার্টিলিটি সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ দেখাবেন, এমনকি যারা বিষয়টা নিয়ে তেমন নিশ্চিত নন, তাদেরও রিপ্রোডাকটিভ বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করতে হবে।

ডা. সৌরেন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, উন্নত দেশগুলোতে স্তন ক্যান্সার নারীদের সাধারণ ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। আর তাদের ফার্টিলিটি বিকল্প জটিল হয়ে ওঠে এবং বয়স, রোগ-নির্ণয়, চিকিৎসার ধরন ইত্যাদির মতো বিষয়ের উপরেও নির্ভর করে। ফার্টিলিটি প্রিজারভেশনের ক্ষেত্রে বর্তমানে সব থেকে কার্যকরী উপায় হল ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ। 

তিনি আরো বলেন যে, নির্দিষ্ট কিছু কারণে অধিকাংশ ক্যান্সার রোগীই নিজেদের ফার্টিলিটি সংক্রান্ত উদ্বেগ বোঝাতে পারেন না। আসলে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়লেই একপ্রকাশ দিশেহারা হয়ে পড়েন। ফলে ফার্টিলিটি সংক্রান্ত ক্ষতির বিষয়টা নিয়ে সে-ভাবে ভাবতেই পারেন না। তবে কিছু রোগী আবার চিকিৎসার পরিকল্পনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ফার্টিলিটি সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর জন্য চিকিৎসককেই বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত সমস্যার কথা রোগীকে বোঝাতে হবে। আর চিকিৎসা শুরু করার আগে থেকেই এটা করলে রোগীর কষ্ট এবং উদ্বেগ কমবে। সেই সঙ্গে জীবনের মানও উন্নত হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই