বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যথার সমাধান

দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যথার সমাধান

বিশ্বের প্রায় শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথায় ভোগে। তাই এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে জুন মাসকে মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা সচেতনতা মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রথম আলোর উদ্যোগে ও টাফনিলের সহযোগিতায় আয়োজিত হলো বিশেষ অনুষ্ঠান মাথা নিয়ে মাথাব্যথার শেষ পর্ব। এবারের প্রতিপাদ্য—‘দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যথা’। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক এম এস জহিরুল হক চৌধুরী ও অভিনেত্রী দীপা খন্দকার।

সঞ্চালনায় ছিলেন সুস্মিতা শ্রুতি চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি ২৮ জুন প্রথম আলো ও এসকেএফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাথাব্যথার ধরন নিয়ে আলোচনা করেন ডা.এম এস জহিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, সাধারণত মানুষের ভেতর টেনশনজনিত ও মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধরনের ব্যথার কিছু ট্রিগার থাকে। যেমন মানসিক চাপ, হতাশা, কাজের চাপ, পরিবেশের প্রভাব ইত্যাদি কারণে টেনশনে মাথাব্যথা বেশি হয়ে থাকে।

মাইগ্রেনের কিছু নির্দিষ্ট ট্রিগার রয়েছে। যেমন রোদ, গরম-ঠান্ডা আবহাওয়া, অতিরিক্ত ভিড়, শব্দ, আলো ইত্যাদি। এসবে যাদের সমস্যা, চিকিৎসকেরা তাদের এগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। রোদে গেলে চোখে কালো চশমা, ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়। শব্দ বা অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়। অন্যদিকে যাদের টেনশনে মাথাব্যথা বেশি হয়, তাদের উচিত দুশ্চিন্তা কম করা, ঠিকমতো ঘুমানো, পরিমিত আহার, হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করা।

অভিনেত্রী দীপা খন্দকার নিজের মাথাব্যথার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমার মাইগ্রেনের ব্যথা হয় না; কিন্তু অতিরিক্ত গরম, রোদ, আলো ও শব্দে সাধারণ মাথাব্যথা হয়। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে আমার মাথাব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এ সময় শরীরের শক্তি কমে আসে। এ সময় আগে থেকে হাইড্রেট থাকার চেষ্টা করি। প্রচণ্ড গরমে শুটিং থাকলে পানি বা ডাবের পানি পান করি।’

এম এস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাথাব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের জন্যও হয়ে থাকে। টেনশনজনিত ও মাইগ্রেনের মাথাব্যথা হলে পানি বা পানিজাতীয় খাবার খেলে ব্যথা অনেকাংশে কমে আসে। আর কোনো অতিরিক্ত চাপ ছাড়া নিয়ম মেনে কাজকর্ম করি, তাহলে মাথাব্যথা এড়ানো সম্ভব হবে।’

মাথাব্যথা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাব্যবস্থা হিসেবে চিকিৎসকেরা নানা রকমের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি দীপা খন্দকার বলেন, স্ট্রেস কমানোর অন্যতম মাধ্যম হলো বিনোদন। নিজেকে একটু সময় দিয়ে যদি একটু গান শোনা বা টেলিভিশন দেখা যায়, তাহলে মাথাব্যথার হওয়ার প্রবণতা কমতে পারে।

মাথাব্যথার কিছু বিপৎসংকেত বা খারাপ লক্ষণ রয়েছে। যেমন হঠাৎ করে তীব্র মাথাব্যথা, সঙ্গে বমি বা বমি বমি ভাব হওয়া, ব্যথার সঙ্গে হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তখন চিকিৎসকেরা খুব সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, কী কারণে মাথাব্যথা হচ্ছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, টিউমার ইত্যাদির জন্য এ ব্যথা হতে পারে। তাই সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করাটা জরুরি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর