শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলার প্রাকৃতিক গুনাগুন

কলার প্রাকৃতিক গুনাগুন

কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।

যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন একটি করে কলা খান ভরা পেটে। দ্রুত নিরাময় হবে। ধূমপান ছাড়তে হলে বেশি করে কলা খান।

কারণ কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে। বিষণ্ণতা দূর করতে কলা অত্যন্ত উপকারী।

কলার উপকারিতাঃ

মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ঃ

মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বলুনি বা চুলকানি হয়। এই জ্বলুনি বা চুলকানি থেকে তাত্‍ক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন।

দেখবেন জ্বলুনি বা চুলকানি একদমই কমে গিয়েছে।

দাঁত সাদা করতেঃ

ঘরোয়া উপায়ে দাঁত সাদা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা।

♦ কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন ২ মিনিট ধরে।

♦ এরপর ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

♦ তারপর আপনার নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন।

মাত্র ৭ দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।

আঁচিল দূর করতেঃ

অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে।

কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।

তবে ৭ দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঃ

♦ এক চা চামচ কমলার রস, এক চা চামচ মধু ও অর্ধেকটা কলা ভালো করে চটকে মিশিয়ে নিন।

♦  এই প্যাক-টি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন।

♦ ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

তাৎক্ষণিক  ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

বলিরেখা দূর করতেঃ

♦ অর্ধেকটা পাকা কলার পেস্ট, এক চা চামচ টকদই এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

♦  প্রথমে মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।

♦ তারপর প্যাক-টি ব্যবহার করুন।

♦ প্যাক শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

আদ্রতা বজায় রাখতেঃ

পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ বলে কলা আদ্রতা ধরে রাখতে সক্ষম।

♦ কলা চটকে মুখে মেখে দশ মিনিট মিশ্রণটি বসতে দিন।

♦ এরপর নরম ও নমনীয় ত্বকের ছোঁয়া পেতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখেঃ

পাকাকলা পটাশিয়ামের আধার। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেলে আপনার হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সচল থাকবে এবং হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।

কিডনি সুস্থ রাখেঃ

কলার পটাশিয়াম এমনকি কিডনিও ভালো রাখে। ইউরিনে ক্যালসিয়াম জমা হতে বাধা দেয় বলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

এর ফলে হাঁড় মজবুত হওয়ার জন্যও আরও বেশি ক্যালসিয়াম বরাদ্দ থাকে।

শরীরে শক্তি যোগায়ঃ

কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং সল্যুবল ফাইবার, যা ধীরে হলেও দৃঢ় শক্তির যোগান দেয় শরীরে।

এ কারণে খেলোয়াড়দের  প্রায়ই খেলার আগে বা খেলা চলাকালীন সময়ে কলা খেতে দেখা যায়।

খাদ্য হজমে সহায়তা করেঃ

কলার ফাইবার এবং প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড হজমে দারুণ সহায়ক। এর ফলে আপনার শরীর আরও বেশি পরিমাণে পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে।

এছাড়া এটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ল্যাক্সেটিভ না নিয়ে অতিরিক্ত পাকাকলা খেয়ে দেখুন!

কলার রাসায়নিক উপাদানঃ

কলার যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম,ইত্যাদি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই