থানকুনি পাতা অতি পরিচিত একটি ওষুধি। আদিকাল থেকেই বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এই পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। ভেষজ উপাদানে ভরপুর থানকুনি পাতা পেটের রোগ সারাতে দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগ সারাতে থানকুনি পাতার জুড়ি নেই।
নিয়মিত খালি পেটে এই পাতার রস খেলে আরও কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে
থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেনটাসাইক্লিক ট্রিটারপেন্স নামের একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এতে মস্তিষ্কের সেলের ক্ষমতা বেড়ে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। বয়স্ক মানুষরাও যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খান, তাহলে শেষ বয়সে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে এই পাতার রস।
অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়
থানকুনি পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় এটি মানসিক চাপ কমায়। সেই সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা কমে যায়। এছাড়া বয়স বাড়লেও, ত্বকে তারুণ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫ থেকে ৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে।
শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে
শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে যদি ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এতে শরীর সুস্থ থােক।
ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি পায়
শুধু পেটই নয়, আলসার, অ্যাজমাসহ নানা চর্মরোগ সারাতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী। এতে ত্বকের সজীবতা বাড়ে। প্রতিদিন থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে বড় বড় রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায় থানকুনি পাতা। কারণ এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ