শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোসহ অন্যান্য এলাকার চার্চ ও বিলাসবহুল হোটেলে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। ইস্টার সানডের অনুষ্ঠান চালকালীন সময় বিস্ফোরণগুলো ঘটায় নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৫৫০ জন আহত হয়েছেন।
রোববারে স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে রাজধানী কলোম্বোর তিনটি হোটেলে ও দুটি চার্চে এবং রাজধানীর অদূরে উত্তর কলোম্বোয় আরো একটি চার্চে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে মোট ছয়টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
যে তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানে অবস্থিত। তাছাড়া রাজধানীর সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি নামক আরো তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হোটেল তিনটি রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ে-এর সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে দ্বিতীয় হামলা হয়। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এরপর ওই তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, কাতুয়াপিটিয়াতে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্তিয়ান নামক চার্চের ছাদ ধসে পড়েছে এবং চার্চের মূল স্থানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, নিহতদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও আছেন।
কলোম্বোর কোচিস্কেডের সেন্ট এন্থনি চার্চে বিস্ফোরণের ভিডিও দেখেতে ক্লিক করুন
ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আহতদের রাজধানী কলম্বোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বোমার প্রচণ্ড আঘাতে আশেপাশের এলাকার কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকেরাও থাকতে পারে। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শিগিগরই জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যেই বিস্ফোরণের বিভিন্ন ছবি উঠে এসেছে টুইটার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণে গির্জায় বেশ ভিড় ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত কলম্বো পুলিশের।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ