বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড্রাগন চাষে শিক্ষক মমতাজুর রহমানের সাফল্য!

ড্রাগন চাষে শিক্ষক মমতাজুর রহমানের সাফল্য!

জয়পুরহাটে শখের বশে ড্রাগন চাষে সফল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মমতাজুর রহমান। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের উপযুক্ত হওয়ায় তিনি ভাল ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানে লাগানো ১১২টি গাছেই ঝুঁলছে শত শত ফল। তার এমন সফলতা দেখে আশে পাশের অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ফলের পাশাপাশি কাটিং চারাও বিক্রি করে ভাল আয় করতে পারছেন।

জানা যায়, শিক্ষক মমতাজুর রহমান জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গণমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পতিত জমিতে ড্রাগন ফল চাষে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। ২০১৮ সালে ৮ শতাংশ জমিতে ১১২টি কাটিং চারা রোপনের মাধ্যমে তিনি এর চাষ শুরু করেন। এর চাষে তাকে স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থা সহযোগিতা করে। নিজের উৎপাদিত কেঁচো সারের ব্যবহার করেন তিনি। এছাড়াও ফল সুরক্ষিত রাখতে শুধু ছত্রাকনাশক স্প্রে করে থাকেন। বর্তমানে তার বাগানের সবগুলো গাছেই প্রচুর পরিমানে ফল এসেছে। আশেপাশের অনেক মানুষ তার বাগানটি দেখতে আসেন। অনেকে তার কাঢ়ছ থেকে কাটিং চারাও কিনে নেন।

মমতাজুর রহমান বলেন, অবসর সময়ে আমার কোনো কাজ ছিল না। তাই শখের বশে ২০১৮ সালে ৮ শতাংশ পতিত জমিতে এর চাষ শুরু করি। তারপর নিয়ম মেনে পরিচর্যা করতে থাকি। তারপর ২০২০ সালে অল্প পরিসরে কিছু গাছে ফল আসে। তখন ৬৬ কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করে খরচ বাদে ১৯ হাজার টাকা লাভ করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, এবছর আর অল্প নয় পুরো বাগান জুড়ে সবগুলো গাছেই ফলন আসছে। ফুল ফোটার মাত্র ৩০ দিনের মাথায় ফল তোলার উপযুক্ত হয়। এর চাষে আমার উৎপাদিত কেঁচো সার ও ছত্রাকণাশক ব্যবহার করেছি। আশা করছি এবার দ্বিগুন লাভবান হতে পারবো।

মমতাজুর আরো বলেন, বর্তমানে আমার চাষ দেখে এলাকার অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমি অনেককেই বিনামূল্যে কাটিং সরবরাহ ও চাষের পরামর্শ দিয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ড্রাগন বিদেশী ফল হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। জয়পুরহাটের মাটি এর চাষের বেশ উপযোগি। চাষিরা ফসলি বা পতিত দুই ধরনের জমিতেই এর চাষ করতে পারেন। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ড্রাগন ফলের নতুন জাত বারি ড্রাগন ফল-১ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করবো।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ