রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

লবণাক্ত জমিতে সাম্মাম চাষে সফল সোহেল!

লবণাক্ত জমিতে সাম্মাম চাষে সফল সোহেল!

খুলনার মোঃ সোহেল রানা মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে সফলতা পেয়েছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন এর গবেষণায় সাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। গবেষণাটির অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় হয়েছে।

জানা যায়, সোহেল রানা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজির ডিসিপ্লিন বিভাগের তৃতীয় বিভাগে ছাত্র। তিনি সাম্মাম চাষের গবেষণার অংশ হিসেবে দুটি জাত ক্রিস্টাল ও অ্যারোমা সুইট নিয়ে কাজ করেছেন। এই গবেষণায় মোট চার ধরনের অর্গানিক স্যার ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে গোবরের তুলনায় ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। সাম্মাম গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও শীতকাল ছাড়া বছরের যেকোনো সময়ে চাষ করা যায়।

সোহেল রানা বলেন, সাম্মাম মধ্যপ্রাচ্যের একটি ফল। বাংলাদেশে এটি রকমেলন নামে পরিচিত। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও সারাবছরই এর চাষ করা সম্ভব। চারা রোপনের ৭৫-৮০ দিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, সাম্মাম দেখতে বাঙ্গির মতো। এটির অনেক মিষ্টি, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। মালচিং করে এটি চাষ করা হয়। প্রতিটি ফলের ওজন প্রায় দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বিঘা প্রতি ৭০-৮০ মণ ফলন হয়। আর বাজারে প্রতি কেজি ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। কৃষক পর্যায়ে এটির চাষ শুরু হলে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন।

দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে দারুন অবদান রাখতে পারবে এই সাম্মাম। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা।

তত্ত্বাবধায়ক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, এই ফল চষের তেমন কোনো প্রচরণা নেই। এর বীজের সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি লবনাক্ত। তবুও আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। আশা করছি আগামীতে এর ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: