বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্নপত্র ফাঁস মুক্ত পরীক্ষায় স্বস্তিতে অভিভাবকরা

প্রশ্নপত্র ফাঁস মুক্ত পরীক্ষায় স্বস্তিতে অভিভাবকরা

পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা-২০১৯। প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা ছড়াই এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে চারটি বিষয়ের পরীক্ষা। সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির ফলে প্রশ্ন ফাঁস মুক্ত পরীক্ষায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা।

তারা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁস গুজবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন নেতিবাচক মনোভাব কাজ করতো তা থেকে সরে এসে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনযোগী হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ গড়ে উঠেছে অন্য দিকে স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবক মহলেও।
বিগত কয়েক বছর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরের ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সফল হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াই সম্পন্ন হয় এসএসসি পরীক্ষা। সেই সফলতা ধরে রাখতে এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও সরকারের কঠোর নির্দেশনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।

বিগত সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকারের অবস্থানকে ধরে রাখতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় সজাগ নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থেকে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব রটনাকারীদের গ্রেফতারও করছে। যার ফলে এ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা প্রশ্ন ফাঁসের মতো অপতৎপরতায় জড়াতে সাহস পাচ্ছে না।

এ বিষয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব মৃধা বলেন, ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আমার মেয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমার মেয়ে যথেষ্ট মেধাবী। আশা করছি, সে পরীক্ষায় ভালো করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে বা এ ধরণের গুজবে মেধাবীরাও মেধার যথার্থ মূল্যায়ন পায় না। এবারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে অভিভাবক হিসেবে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এতে শিক্ষার মানও নিশ্চিত হবে।

আবু নাসের আল ওবায়েদ নামে একজন অভিভাবক বলেন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আমার ছেলে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ওর প্রিপারেশনও ভালো। প্রশ্নপত্র ফাঁস মুক্ত পরীক্ষা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছে। বিষয়টি ভালোলাগার মতো। এখন আর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কোনো গুজবও শুনি না। এটা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই স্বস্তিজনক। আমরা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে খুশি।

এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এ সংক্রান্ত গুজব থেকে দেশ, জাতি এবং শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার মত দিচ্ছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সন্তানদের এই পথ থেকে সরিয়ে আনতে পারবেন কেবল অভিভাবকরাই। অভিভাবকরা সচেতন হলে এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব হবে অপতৎপরতা যারা করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দেয়া।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর