বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, এখন যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, সেটা মূলত আমদানিজনিত কারণে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং সেলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনীতির হালনাগাদ বিষয়াদির উপর গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করে উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, এসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আসিফ দৌলা, জার্মান ভিত্তিক সংস্থা এফএসএফ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. নাজমুল হোসেন, ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিস বাংলাদেশের ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট কেনেল প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক ও পরিচালক ড. বজলুল এইচ খন্দকার তিনটি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ড. শামসুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য আমদানি সহজ করা হয়েছে। একইসাথে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ক্ষেত্রে বিশেষত রেমিটেন্স আহরণের উপর প্রণোদনা দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীদের সুবিধা প্রদান করা। এর মাধ্যমে মূলত দেশের একটি জনগোষ্ঠিকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ইউনিফাইড বা একক বিনিময় হারের দিকে যেতে হবে। 

জাহিদী সাত্তার তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, কোন দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি ৩ শতাংশের উপরে গেলে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিগত অর্থবছরে বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি ৪ শতাংশ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এটাকে যদি আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশের মধ্যে আনা না যায়, তাহলে সেটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দাঁড়াবে।

তিনি একক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ এবং রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন।

সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ড. এম এ রাজ্জাক তার প্রবন্ধে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় কর-জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু উন্নত অর্থনীতির দেশের পর্যায়ে যেতে হলে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বা রাজস্ব আয় বাড়ানোটা খুব জরুরি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর