বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি ও যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ফোরাম গঠন করা প্রয়োজন। এর ফলে ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইনের সাথে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে। ব্যবসায় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কানাডার ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
টিপু মুনশি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশও কানাডার ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। কোথায় সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের লক্ষে সরকারের কাছে সুপারিশ করতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশে সফরের মাধ্যমে নিজ নিজ সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে ধরলে উভয় দেশ সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তিনি জানান,কানাডায় বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা থাকায় সেদেশে রফতানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ কানাডায় ১১১৮ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে,একই সময়ে পণ্য আমদানি করেছে ৪৯৮ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলারের।
আগামী দিনগুলোতে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
কানাডার রাষ্টদূত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সাংবাদিকদের বলেন,বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাইরে সে রকম প্রচারণা নেই। কানাডা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র,তাই এই উন্নয়নে কানাডা খুশি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে যেমন-বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কানাডা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং এই ইস্যুতে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কানাডায় বাংলাদেশী পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। তাই বাণিজ্য আরো বাড়ানো সম্ভব। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য কাউন্সিলর কানাডার ব্যবসায়ীদের সাথে বসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে রফতানি আরো বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।