সংগৃহীত
যৌথ বাহিনীর অভিযানে চার দিনে মোট ৫৬টি অস্ত্র উদ্ধার এবং ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তবে অভিযানের মধ্যেও অপরাধ থেমে নেই। থানা থেকে লুট হওয়া বেশির ভাগ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে অনেক অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে। অনেক বিক্রি হয়েছে। এসব অস্ত্রে দেশে ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। বিভিন্ন হত্যাকান্ডেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক বলেন, পুলিশের লুট হওয়া সব ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানও অব্যাহত আছে। সব অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, চলমান এ যৌথ অভিযানে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র্যাব। গত চার দিনের অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ২টি রিভলবার, ১৮টি পিস্তল, ২টি রাইফেল, ১১টি শটগান, ১টি পাইপগান, ৬টি শুটারগান, ৩টি এলজি, ৩টি বন্দুক, ১টি একে ৪৭, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান ও ৩টি এসবিবিএল। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট এবং উদ্ধার হওয়ার পরিসংখ্যান থেকে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৮টি। এর মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র। তবে রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি ও পিস্তলসহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র। এ ছাড়া প্রায় ৩ লাখ লুট হওয়া গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ শনিবার দিবাগত রাতে নরসিংদী জেলার মাধবদী ও পলাশ থানায় আলাদা আলাদা অভিযান চালিয়ে দইটি ওয়ান শুটারগান (আগ্নেয়াস্ত্র) ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পলাশ থানা পুলিশ ফুলবাড়িয়া হালদারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে দুটি শটগান, ১৬ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন