সংগৃহীত
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা হবে ১৮ জন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ যারা রয়েছেন তারা হলেন- উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সুপ্রদিপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ, ফারুকী আযম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, সজীব ভূঁইয়া।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অংশ নিতে এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছেন অতিথিবৃন্দ। তালিকায় তাদের নাম দেখে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।
জানা গেছে, প্রায় ১২শ’ জন অতিথি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যদের জন্য ২২টি গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গেল মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা যেসব গাড়ি ব্যবহার করেছেন সেসব গাড়িই পরিষ্কার পরিছন্ন করে প্রস্তুত করা হয়েছে। পরর্বতীতে এসব গাড়ি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ একটা বড় পরিবার। এই পরিবারে আমরা একসঙ্গে চলতে চাই। আমাদের সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যা আছে সরিয়ে ফেলতে চাই। যারা বিপথে গেছে তাদের পথে আনতে চাই। যাতে করে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন।
এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ